প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
হাসান আলী উবির ৯৭ ব্যাচের রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী
চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা-পরবর্তী ২৫ বছর পার হওয়ায় অনুষ্ঠিত হলো রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। স্কুলজীবনের স্মৃতি রোমন্থনের প্রয়াসে ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় স্কুল চত্বরে স্কুলে পড়াশোনাকালীন সময়ের মতোই শরীর চর্চা করেন বন্ধুরা। এরপর যথানিয়মে তখনকার সময় তারা প্রতিদিন যে শপথ করতেন ২৫ বছর পর আবার সে শপথ পাঠ করলেন এবং বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষকরা পতাকা উত্তোলন করেন।
|আরো খবর
অ্যাডঃ সাইফুল ইসলাম ও কামাল হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা ফেরদাউস আরার সভাপ্রধানে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডঃ মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল। তিনি বলেন, এমন পুনর্মিলনীর আয়োজন স্কুলজীবনের স্মৃতি রোমন্থন করার ক্ষেত্র, এই আয়োজনের সবচেয়ে বড় সার্থকতা পুনর্মিলনীতে আসা সকলের মাঝে প্রাণের সঞ্চার দেখতে পাওয়া। এ সময় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
উদ্বোধনী পর্ব শেষে স্মৃতিচারণ করেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক শিক্ষক প-িত নরেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী, সিরাজুল ইসলাম পাটওয়ারী, মোহাম্মদ হোসেন, আবুল হাসেম, আব্দুল মতিন, নূর খান, মমিন সর্দার, ইউছুফ মজুমদার ও আব্দুল মালেক। তাঁরা বলেন, এতোগুলো বছর পর এভাবে সাবেক শিক্ষকদের সম্মানিত করাটা বিরল ঘটনা। আজকের আয়োজনে তোমাদের এক সাথে সামনে পেয়ে মনে হচ্ছে যেনো সেই ১৯৯৭-এর সময়কার শ্রেণী কক্ষে পাঠদান করছি। আজকের পুনর্মিলনীতে আগত কেউ আজ ডাক্তার, কেউ ব্যাংকার, কেউ কেউ ভিন্ন ভিন্ন পেশায় আছেন, সকলের অবস্থা ভিন্ন ভিন্ন। তবে এমন মিলনমেলায় সবাই একত্রিত হয়ে তারা যে উৎসবে মেতে উঠেছে, তা অন্য কোনো কিছুর বিনিময়ে পাওয়া সম্ভব নয়। যে যতো বড় পর্যায়ে থাকুক না কেনো, বন্ধুত্বের সম্পর্ক চিরকাল বন্ধুত্বেই অটুট থাকে।
টিফিন খাওয়ার স্মৃতিতে ফিরে যেতে স্কুলজীবনের সেই সময়কালের মতোই বেল বাজানোর পর তখনকার ক্লাস ক্যাপ্টেন সবার মাঝে বাটার বন বিতরণ করেন। হাসি-আহ্লাদে সবাই টিফিন খাওয়া শেষে তাদের ক’জনের সাথে আসা বাচ্চাদের জন্যে বল নিক্ষেপসহ কয়েকটি খেলার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ও বিজয়ীদের রং-পেনসিল বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্বটি ছিলো জীবনদীপের ব্যবস্থাপনায় রক্তদান কর্মসূচির। এতে কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ ৯৭ ব্যাচের কয়েকজন রক্তদান করেন। পবিত্র জুমার নামাজের বিরতি ও দুপুরের খাবার গ্রহণ শেষে শুরু হয় অংশগ্রহণকারীদের জন্যে বিভিন্ন ইভেন্টে কয়েকটি খেলার প্রতিযোগিতা। মোড়গ লড়াই, হাঁড়িভাঙ্গা, বেলুন ফুটানোর মতো হাস্যোজ্জ্বল ইভেন্টগুলোতে যেনো সবাই মেতে ওঠে কৈশোরের সেই স্কুলজীবনের ন্যায়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে একে একে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে স্কুলজীবনের স্মৃতিচারণ শেষে একই ব্যাচের প্রবাসে থাকা বন্ধুরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সান্ধ্যকালীন পর্বে আমন্ত্রিত শিল্পীদের গান পরিবেশনের পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের ক’জন গান ও কৌতুক পরিবেশন করেন। পরবর্তীতে র্যাফেল ড্র ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ শেষে পুনর্মিলনীর সদস্য সচিবের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।