প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৪১
ওয়্যারলেস বাজার এলাকায় গণশৌচাগার না থাকায় জনদুর্ভোগ
চাঁদপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের নাম ওয়্যারলেস বাজার। চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ওয়্যারলেস বাজারের অবস্থান।
|আরো খবর
চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ- রায়পুর সড়কে চাঁদপুর সেতু নির্মাণের পর ওয়্যারলেস বাজারের গুরুত্ব বেড়ে যায়। এই বাজার এলাকায় গণশৌচাগার না থাকায় মানুষজনকে পড়তে হয় দুর্ভোগে।
প্রাকৃতিক কাজে সাড়া দিতে গিয়ে দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করতে হয় সকল বয়সী নারী ও পুরুষকে।
চাঁদপুর শহরের বাস স্ট্যান্ড, বাবুরহাট ও বাগাদী চৌরাস্তা বাজারে পাবলিক টয়লেট (গণশৌচাগার)-এর ব্যবস্থা রয়েছে। অথচ ওয়্যারলেস বাজারের মতো
জনবহুল এই স্থানে গণশৌচাগার না থাকায় মানুষের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। ব্যবসায়ীদের জন্যেও টয়লেট নেই।
সরকার ওয়্যারলেস বাজার থেকে রাজস্ব আদায় করলেও বাজারের বিক্রেতা ও ক্রেতাদের জন্যে
গণশৌচাগার নির্মাণের ব্যবস্থা করেনি।
ওয়্যারলেস দিয়ে ফরিদগঞ্জ, রায়পুর, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন স্থানের মানুষ চলাচল করে থাকে। বিষয়টি বিবেচনা করে এ স্থানে একটি গণশৌচাগার নির্মাণ করা জরুরি।
ট্রাফিক পুলিশের টিআই মাহফুজ মিয়া বলেন, জনস্বার্থে এখানে গণশৌচাগার প্রয়োজন। ওয়্যারলেস দিয়ে বৃদ্ধ নারী-পুরুষ, শিশুসহ সকল বয়সী লোকজন চলাচল করে থাকে। এদের কথা চিন্তা করে একটি গণশৌচাগার নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন।
ওয়্যারলেস বাজারের মুদি ও কনফেকশনারী ব্যবসায়ী মোঃ বাশার মোল্লা ও ঔষধ ব্যবসায়ী মোঃ শফিক গাজী বলেন, আমাদের এ বাজারে গণশৌচাগার নেই। এখান দিয়ে বিভিন্ন স্থানের মানুষ চলাচল করে থাকে। ২৪ ঘন্টাই এখানে জনসমাগম থাকে। পাশাপাশি বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতা রয়েছে। বাজারটির গুরুত্ব থাকলেও গণশৌচাগার না থাকায় সংশ্লিষ্ট সকলকে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
জনস্বার্থে বাজারে দ্রুত একটা গণশৌচাগার নির্মাণ জরুরি।
পান সিগারেটের দোকানি মুকু বরকন্দাজ বলেন, এখানে মানুষজন গণশৌচাগার খোঁজ করে থাকে। একটা গণশৌচাগার নির্মাণ জরুরি।
নিত্যদিনের যাত্রী ডি এম হাবিব খান বলেন, ওয়্যারলেস বাজারে কোনো গণশৌচাগার নেই। প্রায় সময় দেখি, অনেকে গণশৌচাগারের খোঁজ করে। এখানে গণশৌচাগার জরুরিভাবে নির্মাণ করা প্রয়োজন।