প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫২
যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিবিদ্বেষী পোস্ট করলেই ভিসা ও গ্রিন কার্ড বাতিল

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইহুদিবিরোধী পোস্ট, মন্তব্য বা কোনোভাবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন জানালে যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা ও গ্রিন কার্ড আবেদন বাতিল হবে। এমনকি পূর্ববর্তী কার্যক্রমও হবে মূল্যায়নের আওতায়। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এই নতুন নীতির ঘোষণা দিয়েছে, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।
|আরো খবর
এই নীতির আওতায় হামাস, হিজবুল্লাহ, হুথি প্রমুখ গোষ্ঠী—যাদের যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে—তাদের সমর্থনে সামাজিক মাধ্যমে করা যেকোনো পোস্ট, মন্তব্য বা শেয়ার ‘ইহুদিবিদ্বেষী কার্যক্রম’ হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস বা শিক্ষার উদ্দেশ্যে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন বলেন,“মন্ত্রী ক্রিস্টি নয়েম স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, যারা মনে করেন তারা আমেরিকায় এসে ইহুদিবিরোধী সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের পক্ষে প্রথম সংশোধনীর আড়ালে লুকাতে পারবেন, তারা ভুল করছেন। এদের যুক্তরাষ্ট্রে স্বাগত জানানো হবে না।”
তিনি আরও জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এমন যেকোনো তথ্য—যা প্রমাণ করে যে আবেদনকারী ইহুদিবিরোধী সন্ত্রাসবাদে জড়িত, সমর্থন করেছে বা করছে—তা হবে ভিসা বা গ্রিন কার্ড প্রত্যাখানের ভিত্তি।
এই নীতি মূলত শিক্ষার্থী ভিসা (F1, J1), গ্রিন কার্ড ও স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদনকারীদের ওপর প্রযোজ্য। তবে এটি ভবিষ্যতে অন্যান্য শ্রেণির ভিসার ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে অভিবাসন বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এই পদক্ষেপকে ঘিরে কিছু মানবাধিকার সংগঠন ও বাকস্বাধীনতার পক্ষের আইনজীবীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, এটি মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী—যা নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে—তার পরিপন্থী হতে পারে।
তবে সরকার জানিয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে ঘৃণা ছড়ানো বা সন্ত্রাসী মতাদর্শ প্রচার গ্রহণযোগ্য নয়।
এই ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনে আগ্রহী যেকোনো বিদেশি নাগরিকের জন্য বার্তা একটাই—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতীত ও বর্তমান কার্যক্রম হবে মূল্যায়নের অন্যতম প্রধান উপাদান। তাই ইহুদিবিরোধী বা সন্ত্রাসবাদের প্রতি যেকোনো ইঙ্গিতপূর্ণ বিষয় থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র: হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ, USCIS প্রেস ব্রিফিং, এপি নিউজডিসিকে/এমজেডএইচ