প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর গ্রামের কাজী তৈয়বুর রহমান রোববার বিকেল ৫টার দিকে ও ১৪ ঘণ্টা পর সোমবার সকাল ৭টার দিকে তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এদিন (সোমবার) সকাল ১০টায় আশ্রাফপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১০ মিনিটের ব্যবধানে অনুষ্ঠিত জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমদ্বয়ের জ্যেষ্ঠ পুত্র কাজী হাবিবুর রহমান। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদেরকে দাফন করা হয়। কাজী হাবিবুর রহমান জানান, আমরা তিন ভাই ও চার বোন। দুই ভাই ও তিন বোন প্রবাসে আছে। আমার পিতা আশ্রাফপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান। তিনি কয়েকবার ব্রেন স্ট্রোক করেছেন। এছাড়াও তিনি হৃদরোগে ভুগে আসছিলেন। আমার মা ২৭ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাছাড়া তিনি শ^াসকষ্ট রোগেও ভুগছিলেন। পিতার মৃত্যুতে তিনি খুবই ভেঙ্গে পড়েন। আমার মা গত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকবার বলে গেছেন ‘আমার ধারণা, তোমার বাবা ও আমি একই সময়ে মরে যাবো। আমাদের মৃত্যুর পর বাবা তুমি আমাদের জানাজার নামাজে ইমামতি করবে।’ মায়ের কথাই সত্যে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, একই স্থানে একইদিন সকালে আশ্রাফপুর ভোলাইর বাড়ির করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রহমতের স্ত্রীর সাবিনা বেগমের জানাজাও অনুষ্ঠিত হয়।