প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:১০
চীনে নতুন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে হিউম্যান মেটা নিউমো ভাইরাস
আপনার জীবন বিপন্ন!
বিশ্ব এখনো কোভিড-১৯ এর স্মৃতি ভুলতে পারেনি। এরই মধ্যে চীনে নতুন সংক্রামক ভাইরাস হিউম্যান মেটা নিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি)-এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভাইরাসটির কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।
একসঙ্গে একাধিক ভাইরাসের সংক্রমণ
এইচএমপিভি ছাড়াও চীনে ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বাড়ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। শিশু হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়া এবং ‘সাদা ফুসফুস’-এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। যদিও চীনের সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেনি, তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করেছেন।
ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য ও চিকিৎসা
বিশেষজ্ঞদের মতে, হিউম্যান মেটা নিউমো ভাইরাস সাধারণত ফ্লু-এর মতো লক্ষণ সৃষ্টি করে, যেমন জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট। এটি কোভিড-১৯ এর উপসর্গের সঙ্গে মিলেও দেখা যেতে পারে। তবে এই ভাইরাসের কোনো কার্যকর টিকা বা নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ এখনো নেই।
চীনের উত্তরাঞ্চলে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভাইরাসটি মোকাবিলায় অযথা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহার না করাই ভালো। তারা সবাইকে সতর্ক থাকার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
নতুন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা চালু
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ অজানা কারণের নিউমোনিয়া শনাক্ত করতে একটি পাইলট পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা চালু করেছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে পরীক্ষাগারগুলো দ্রুত রিপোর্ট দিতে পারবে, যা রোগ শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধে সহায়ক হবে।
গত ডিসেম্বরের ১৬ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে তীব্র শ্বাসতন্ত্র রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, শীতকালে শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
চলমান পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন।
অপ্রয়োজনে ভিড় এড়িয়ে চলা
নিয়মিত হাত ধোয়া
মাস্ক ব্যবহার
লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
জনসাধারণের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।