প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা আরো আগেই শুরু হয়েছে। কিন্তু কঠোর লকডাউন না মানার প্রবণতা গত কয়েক দিনে বেশি করে দেখা দিয়েছে। দূরপাল্লার বাস ছাড়া সড়ক পথে সব ধরনের পরিবহন চলছে। এমন বাস্তব চিত্র রোববারসহ গত ক'দিন ধরে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কসহ হাজীগঞ্জে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে ও সরজমিনে দেখা যায়, চলমান কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ার পর ক’দিন ধরে যৎসামান্য স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা গেছে হাজীগঞ্জবাসীকে। স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে অনেক ব্যবসায়ী ও পথচারীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা গুণতে হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, পুলিশ সর্বাত্মক স্বাস্থ্যবিধি মানাতে যথাসাধ্য শ্রম-ঘাম দিয়ে চেষ্টা করেছে আন্তরিকতার সাথে, কিন্তু দিনশেষে মানুষকে ঘরে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। মূলত এ কারণে কঠোর লকডাউনের মধ্যে মানুষ মানেনি স্বাস্থ্যবিধি।
স্বাস্থ্যবিধি না মানার পাশাপাশি কঠোর লকডাউন না মানার প্রবণতা প্রকট হয়ে উঠে যাত্রী, পথচারী কিংবা চালকদের মধ্যে। ভাড়ায় চালিত ছোট ছোট গণপরিবহন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারীচালিত অটোবাইক, রেন্ট-এ-কারে ব্যবহৃত জিপ ও মাইক্রোবাসগুলো মিথ্যে তথ্য দিয়ে চলাচল করেছে সমান তালে। মূলত চলমান কঠোর লকডাউনের ক’দিন পর হতেই অ্যাসিড টেস্টের মতো কিংবা পরীক্ষামূলকভাবে সাধারণ লোকজন বাড়ির বাইরে বের হতে শুরু করে। একইভাবে অ্যাসিড টেস্টের মতো ছোট পরিবহনগুলো অল্প অল্প করে চলাচল করতে শুরু করে। এসব দেখেই একটা সময় দূরপাল্লার বাস ছাড়া সব ধরনের যান চলাচল শুরু করে চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেই।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর জানান, চলমান কঠোর লকডাউন না মেনে সড়কে চলাচলের দায়ে আমরা বহু মামলা করেছি। বেশ কিছু সিএনজি অটোরিকশা ও অটোবাইক আটক করেছি। অনেক চালক ও যাত্রী এক হয়ে গাড়িতে রোগী আছে বলে মিথ্যে তথ্য দিয়ে রাস্তায় চলাচল করার বৃথা চেষ্টা করেছে।