প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
গ্যাস বিল অনলাইন করায় গ্রাহক ভোগান্তির অভিযোগ
চাঁদপুর এরিয়া অফিসের কম্পিউটার অপারেটরদের অবহেলায় জরিমানা গুণবে গ্রাহকরা
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, চাঁদপুর এরিয়া অফিসের অধীনস্থ আবাসিক গ্রাহকদের বিল-সংক্রান্ত হিসাব নম্বর অনলাইনকরণে গ্রাহক ভোগান্তির অভিযোগ উঠেছে। গত অক্টোবর থেকে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, চাঁদপুর এরিয়া অফিস সকল আবাসিক গ্রাহকের মাসিক গ্যাস বিল অনলাইনে জমা নেয়ার প্রক্রিয়া চালু করেছে। ফলে যে সকল ব্যাংক গ্যাস বিল জমা গ্রহণ করতো, অনলাইন অ্যাকাউন্ট না থাকার কারণে সে সকল ব্যাংক গ্রাহকের গ্যাস বিলের টাকা জমা নিচ্ছে না। কোনো ধরনের পূর্ব নোটিস না দিয়ে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ গ্রাহকগণ।
|আরো খবর
এদিকে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড চাঁদপুর এরিয়া অফিসে অনলাইন হিসাব নম্বর নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। সরেজমিনে দেখা যায়, অনলাইন হিসাব নম্বর নিতে আসা গ্রাহকদের বই জমা রেখে ৩ মাস পর আসতে বলা হচ্ছে। এর ফলে গ্রাহক গত অক্টোবর মাসের বিলসহ আগামী ৩ মাস সময়মতো গ্যাস বিল পরিশোধ করতে পারছেন না। ফলে প্রত্যেক গ্রাহককে ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও জরিমানাসহ বিল পরিশোধ করতে হবে।
কয়েকজন গ্রাহক এমন পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি। গ্যাস অফিসে সিস্টেমের কাছে নিরূপায় হয়ে অনেক গ্রাহককে বই জমা দিয়ে চলে যেতে দেখা যায়। তবে কিছু গ্রাহক সাথে সাথেই অনলাইন হিসাব নম্বরসহ কার্ড পাচ্ছেন বলে জানা যায়। ‘কী উপায়ে তারা সাথে সাথে অনলাইন হিসাব নম্বর পাচ্ছেন’ এ বিষয়ে জানাতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গ্রাহক জানান, তার পরিচিত একজনের সাথে কথা বলে কম্পিউটার অপারেটরকে ২শ’ টাকা দিয়ে তারা সাথে সাথেই অনলাইন হিসাব নম্বরসহ কার্ড পেয়েছেন। এ বিষয়ে আরো কয়েকজন অভিযোগ করে জানান, গ্যাস অফিসের ঠিকাদারের মাধ্যমে ৫শ’ টাকা দিয়ে তারা অনলাইন হিসাব নম্বর পেয়েছেন।
এছাড়া যারা অনলাইন হিসাব নম্বর পাচ্ছেন তারাও নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বলে জানা যায়। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার মঠখোলার ১ জন গ্রাহক জানান, তিনি ব্যাংকে বিল পরিশোধ করতে গিয়ে দেখেন তার ২০১৬ ও ২০১৭ সালের বিল বকেয়া দেখাচ্ছে। এর জন্যে তাকে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা পরিশোধ করতে বলেন। পরে তার পরিশোধিত বিলের কপি নিয়ে গ্যাস অফিসে দেখানোর পর তা ঠিক হয়। এ বিষয়ে তিনি জানান, এ অবস্থায় যদি আমার বিলের কপি না থাকতো তাহলে তো আমাকে এই টাকা পরিশোধ করতে হতো। অনলাইনের এমন বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, চাঁদপুর-এর এরিয়া ম্যানেজার (রাজস্ব ও হিসাব শাখা) মোঃ দেলোয়ার হোসেনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, আমাদের লোকবল সংকটের কারণে আমরা গ্রাহককে দ্রুত অনলাইন নম্বর দিতে পারছি না। এছাড়া কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে যারা কাজ করছেন তারা মূলত আউটসোর্সিং হিসেবে কাজ করছেন। তারপরও যদি কেউ আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন, তাহলে আমরা ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।