শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ॥ তদন্ত কমিটি গঠন
স্টাফ রিপোর্টার ॥

ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের মনতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ-প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের ওমর ফারুক নামে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার কাছে প্রাইভেট পড়ুয়া পরীক্ষার্থীদেরকে মাঝে গোপনে প্রশ্নপত্র বিতরণ করেছেন তিনি। ঘটনাটি বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষা চলাকালের ঘটনা।

জানা গেছে, গত রোববার ৬ নভেম্বর বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর টেস্ট পরীক্ষা চলাকালে বিজ্ঞান বিভাগের রসায়ন বিষয়ের প্রশ্নপত্র দুদিন আগেই কৌশলে শিক্ষক ওমর ফারুক নিজের কাছে প্রাইভেট পড়ে এমন ১০ জন পরীক্ষার্থীকে দিয়ে দেন। ইতিপূর্বেও শতাধিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে এই দশ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা খুব কম সময়ের মধ্যে শেষ হওয়ায় অন্য পরীক্ষার্থীদের মাঝে কৌতূহল সৃষ্টি হয়। পরে পরীক্ষার্থীদের মাঝ থেকে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুকের প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডের কথা জানাজানি হয়।

শেষ পর্যন্ত বিষয়টি অভিভাবক মহলে জানাজানি হলে বুধবার ৯ নভেম্বর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী টুম্পা, রুবাইয়া রহমান মনিরা ও রাকিক হোসেন বলেন, ওমর ফারুক স্যারের কাছে যারা প্রাইভেট পড়ে, তিনি তাদেরকে পরীক্ষার সময় আগাম প্রশ্ন দেন। আমরা প্রাইভেট না পড়ে নিজেরা পড়াশোনা করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করতে চাই, অথচ তার কাছে প্রাইভেট না পড়লে ফেল করার কথা বলে।

বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সরকার প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্য নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও মনতলা হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কজন শিক্ষক প্রাইভেট পড়াতে ব্যস্ত। আমরা অভিভাবকরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে ম্যানেজিং কমিটির সাথে কথা বলে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। যে বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ের পরীক্ষা আবার নতুন করে গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে সহকারী প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, আমি হাতে লিখে দিয়েছি, তবে প্রশ্নের সাথে যে মিলে গেছে তা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল্যা আল মামুন জানান, ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিষয়টি আমাকে মৌখিকভাবে অবগত করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়