প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:২১
ফরিদগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
প্রধান শিক্ষকের কক্ষের তালা ভাঙ্গলো দুর্বৃত্তরা, নথি ও ক্রেস্টে আগুন
ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরস্থ ফরিদগঞ্জ আবিদুর রেজা পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষের তালা ভেঙ্গে দুর্বৃত্তরা মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি ২০২৫) দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিন কাজলকে ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যায়িত করে তার কক্ষে তালা মেরে দেয় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। সেই থেকে অদ্যাবধি ওই কক্ষটিতে তালাবদ্ধ ছিলো।
বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী রুহুল আমিন জানান, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি ২০২৫) জোহর নামাজের আগে হঠাৎ করেই তিনজন যুবক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের তালাবদ্ধ কক্ষের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় তিনি বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেও তারা বাধা উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষকের রুমে প্রবেশ করে ভেতর থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, ক্রেস্ট ও বই বস্তায় করে নিয়ে যায়। পরে তারা বিদালয়ের দক্ষিণ পাশে নদীর পাড়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়।
বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী সুমন পাল জানান, তিনি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে স্কুলে আসলে স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী রুহুল আমিন ভাংচুরের কথা জানায়। তাৎক্ষণিক তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে জানাতে তার কাছে ছুটে যান।
বিদ্যালয়ের বেশ ক'জন শিক্ষক জানান, তারা ক্লাস রুমে ছিলেন ঘটনার সময়। পরে এই ঘটনা শোনেন। এদিকে এতো বড়ো একটি ঘটনা ঘটলেও কেউই ওই দুর্বৃত্তদের আটক করতে চেষ্টা করেনি, যা রহন্যজনক। তবে স্থানীয়রা জানান, দুর্বৃত্তরা চিহ্নিত, ভয়ে মুখ খুলছেন না কর্মচারীরা।
বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী শামীম হাসান জানান, তিনি বিদ্যালয়ের মাঠে তারুণ্যের উৎসব নিয়ে কাজ করছিলেন। ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষটি তালা ভাঙ্গা এবং ভেতরে প্রবেশ করে সকল স্টিলের আলমিরা খোলা দেখতে পান।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার বলেন, আমি ঘটনার সময় দক্ষিণ পাশের ভবনে কাজ করছিলাম। অফিস সহকারী এসে আমাকে ঘটনাটি জানান। আমি প্রধান শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করে প্রতিটি আলমিরা খোলা এবং জিনিসপত্র এলোমেলো দেখতে পাই। আমি ইউএনও'র সাথে কথা বলে এই বিষয়ে থানায় জিডি করেছি। আমার ধারণা, এই চুরি, ভাংচুর ও আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে থানায় জিডি করতে বলেছি। এই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।