প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:১০
কুয়াশাচ্ছন্ন চাঁদপুরে বেড়েছে শীতের তীব্রতা
চাঁদপুর-শরিয়তপুর নৌরুটে ১০ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ
নদীবেষ্টিত চাঁদপুরে শেষ সময়ে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গত ক'দিন যাবত মাঘ মাস হিসেবে সে রকম শীত অনুভূত হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি ২০২৫) ভোর থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চাঁদপুর। সে সাথে দেখা দেয় শীতের দাপট। শেষ দুপুরে কিছু সময়ের জন্য সূর্য উঁকি দেয়। তবে কুয়াশার আবরণ ছিলো নদীসহ সব জায়গায়। শীতের দাপটের সঙ্গে কুয়াশার প্রভাব দেখা গেছে।
|আরো খবর
বুধবার (২২ জানুয়ারি ২০২৫) রাত থেকে কুয়াশা বাড়তে শুরু করে এবং বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুর কুয়াশাচ্ছন্ন ছিলো ।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের শেষদিন হওয়ায় সড়কে যানবাহনের চাপ ছিল বেশি। শীতের কারণে যারা কাজের জন্যে বাইরে বের হয়েছেন, তারা গরম কাপড় পরেছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কিছু স্থানীয়ভাবে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। যা কিছু কিছু স্থানে দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে, ফলে উত্তাপ কিছুটা বাড়বে। তবে অন্যান্য অঞ্চলে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এছাড়া পাঁচদিনের বর্ধিত পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই সময়ের প্রথমদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। যার ফলে শীতের প্রভাব আবার বাড়তে পারে।
চাঁদপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা শাহ্ মুহাম্মদ শোয়েব জানান, চাঁদপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২৩-০১-২০২৫) এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২২-০১-২০২৫)।
এদিকে ঘন কুয়াশায় চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌরুটে ১০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এ রুটে বুধবার রাত ১২টার দিকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
টানা ১০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ফেরি চলাচল আবার শুরু হয়।
বিআইডব্লিউটিসির চাঁদপুর হরিণা ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক ফয়সাল চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব কমলে ফেরি চলাচল আবার শুরু হয়। আটকেপড়া যানবাহনগুলোর মধ্যে যাত্রীবাহী, কাঁচামাল বোঝাই এবং অন্য সব জরুরি গাড়িগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে পার করা হয়। তিনি আরও জানান, আমাদের এই ফেরি রুটে ছয়টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করছে। কুয়াশা পড়লে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এমনিতে এখানে গাড়ির চাপ কম থাকে। কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর গাড়ি পারাপারে তেমন সমস্যা থাকে না।