শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

আজ সাবেক এমপি হারুন অর রশিদ খানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী
স্টাফ রিপোর্টার ॥

চাঁদপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব মরহুম হারুন অর রশিদ খানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে আজ মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে নিজ বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার ১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের খেরুদিয়া এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসায় কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মরহুম আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ খান ১৯৩৪ সালের ১ নভেম্বর চাঁদপুর সদর উপজেলা তৎকালীন আশিকাটি ইউনিয়নের সফরমালী গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলহাজ্ব মরহুম সেকান্তর খান।

চাঁদপুর সদরের কৃতী সন্তান মরহুম হারুন অর রশিদ ২০০৩ সালের ৫ নভেম্বর ৯ রমজান ঢাকার ইন্দিরা রোডস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। তিনি তৎকালীন চাঁদপুর-৩ আসনের দু-দুবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন।

তিনি চাঁদপুর ও মতলব উপজেলায় বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, স্কুল-কলেজে শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি সফরমালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও চেয়ারম্যান পদে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে হকার্স মার্কেট প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে অন্যতম একজন উদ্যোক্তা ও উপদেষ্টা ছিলেন।

১৯৬০ সালে সফরমালী উচ্চ বিদ্যালয় মেঘনার করাল গ্রাসে পতিত হলে হারুন খান তার বাবা মরহুম আলহাজ্ব সেকান্তর খানের নির্দেশে সফরমালী উচ্চ বিদ্যালয় পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সফরমালী বাজারের প্রতিষ্ঠাতা। উক্ত বাজারের আয়ের একটি বিশাল অংশ দুঃস্থ, মানবতার সেবা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উৎসর্গ করেছেন, যা এখনো চলমান।

এছাড়াও তিনি মুন্সিরহাট দারুল উলুম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, মুন্সিরহাট কলেজের আজীবন সদস্য, মতলব বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।

আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ খান ছাত্রজীবনে ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি চাঁদপুর গণি স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন। ১৯৫২ সালে চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। ভাষা আন্দোলনেও তার সক্রিয় ভূমিকা ছিলো। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। যুদ্ধ চলাকালীন এলাকার যুবসমাজকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্যে উৎসাহ প্রদান করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণে সার্বিক সকল প্রকার সহযোগিতা করেন। প্রশিক্ষণ নিতে তিনি ভারত চলে যান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেন।

১৯৮২-৮৮ পর্যন্ত বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতি সভাপতি ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ঢাকার সদস্য, ১৯৭০-৮৬ সাল পর্যন্ত হাজী মহসিন জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি, ১৯৭৮-৮৮ সময়ে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সমিতির সহ-সভাপতি ও উপদেষ্টা ছিলেন।

১৯৮৬-৮৮ সালে সাবেক চাঁদপুর-৩ আসন থেকে দুবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচন হন। তিনি চাঁদপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়