প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
মোঃ লোকমান হোসাইন শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া (উঃ) ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি উপজেলা যুবদলের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের হাড়াইপাড়া গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির লোকমান হোসাইন ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। রাজনৈতিক মামলায় কারাগারেও গিয়েছেন তিনি। বিএনপির নিবেদিতপ্রাণ লোকমান হোসাইনের স্থানীয় রাজনীতিতে রয়েছে অনেক অবদান। যে কোনো কর্মসূচিতে শরিক হয়ে দলের পক্ষে স্লোগান তোলেন। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ধারাবাহিক আয়োজন রাজনৈতিক ভাবনায় তার দেয়া বক্তব্য তুলে ধরা হলো :
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার দৃষ্টিতে যে কোনো নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন কিসের নিরিখে হয়? এজন্যে কী কী করতে হয়?
মোঃ লোকমান হোসাইন : দলীয় মনোনয়ন পেতে হলে দলের জন্য মেধা, শ্রম ও দলের একনিষ্ঠ নেতা বা কর্মী হতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, অনেক সময় অর্থের কাছে অনেক ত্যাগ ও স্বীকৃতি চাপা পড়ে যায়। একজন আদর্শবান নেতা দলীয় নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করে একসাথে এগিয়ে যান। কিন্তু যাদের সাথে নেতা-কর্মীদের সম্পর্ক নেই তারাই মনোনয়ন পেতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : স্থানীয় পর্যায়ে নিজ দলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল কী কী কারণে হয় বলে আপনার ধারণা? এ কোন্দল নিরসনে জেলা পর্যায় বা কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতার সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণের হুঙ্কার সাধারণত দ্রুত উচ্চারিত হয় না। এটার হেতু কী?
মোঃ লোকমান হোসাইন : দলের ভিতরে কোন্দলের সৃষ্টি হয় মূলত কোনো প্রকার পদপদবি ও সুবিধা বঞ্চিত হলে। বিগত দিনের দিকে তাকালে দেখা যায়, যে কোনো দলের মনোনয়ন বঞ্চিত ও সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত নেতারাই দলের মধ্যে গ্রুপিং তৈরি করে। আবার অনেক সময় পদ ও সুযোগ-সুবিধা পেয়ে অনেক নেতাই দলীয় ত্যাগী ও আদর্শ নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন করার কারণেও দলের মধ্যে গ্রুপিং হয়ে থাকে। জেলা অথবা কেন্দ্র হুংকার দিয়েও কার্যত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে তেমনটা দেখা যায় না। এর কারণ, সেখানেও স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা লবিং করে থাকে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : দলের তৃণমূলের বর্ধিত সভায় কিংবা সাধারণ বর্ধিত সভায় খোলামেলা অনেক কথা হয়। অনেক তিক্ত সত্য কথা উচ্চারিত হয়। এগুলো কি আদৌ আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়?
মোঃ লোকমান হোসাইন : দলীয় অনেক আলোচনা সভা ও সমাবেশে অনেক কথাই উচ্চারিত হয়ে থাকে। সভাশেষে কর্যত এগুলো হারিয়ে যায়। সেই কারণেই দলের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে এবং গ্রুপিংয়ের সৃষ্টি হয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : রাজনীতিতে আদর্শের চর্চা ও দলীয় গঠনতন্ত্র যথাযথভাবে মেনে চলার গুরুত্ব কতোটুকু? আপনি কি মনে করেন আপনার দলে উক্ত চর্চা ও মেনে চলার কাজটা যথাযথভাবে হচ্ছে?
মোঃ লোকমান হোসাইন : প্রকৃত রাজনৈতিক আদর্শের চর্চা ও গঠনতন্ত্র মেনে রাজনৈতিক দলগুলো পরিচালিত হলে বহু সমস্যার সমাধান হয়ে যেতো। বিশেষ করে দ্বিধা বিভক্ত পাল্টাপাল্টি কমিটি হতো না। সকল নেতাই গঠনতন্ত্র মেনে দলকে পরিচালিত করতেন। সাধারণ নেতা-কর্মীগণ মূল্যায়িত হতো, নেতৃত্বে আসতে প্রতিযোগিতার মনোভাব বৃদ্ধি পেতো, অর্থ ও প্রভাবের বিস্তারের পিছে না হেঁটে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতেন। রাজনৈতিক আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য গঠনতন্ত্র মেনে চলা অপরিহার্য। আমি মনে করি, আমার দল অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চেয়ে অনেক বেশি গঠনতন্ত্র মেনে পরিচালিত হয়।