প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান। বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক, দায়িত্ব পালন করছেন বিসিবির ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলেছেন ৮ টেস্ট ও ৪৪ ওয়ানডে। সব কিছু ছাপিয়ে আকরাম খানের সবচেয়ে বড় পরিচয় আইসিসি ট্রফি জয়ী বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। আগামী ২ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর সফরে আসছেন আকরাম খান, উদ্দ্যেশ্য বিসিবি কাউন্সিলর কাপের উদ্বোধন। তার আগে এই কীর্তিমান ক্রিকেটার দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠকে দিয়েছেন সাক্ষাৎকার। তাঁর এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাছরাঙা টেলিভিশনের সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক জাহিদ চৌধুরী।
জাহিদ চৌধুরী : কেমন আছেন?
আকরাম খান : জ্বী, ভালো।
জা. চৌ : চাঁদপুর যাচ্ছেন?
আকরাম : জী অনেক দিন পর।
জা. চৌ : এর আগে কবে গিয়েছিলেন?
আকরাম : সালটা ঠিক মনে করতে পারছি না। তবে ২০০২ কিংবা ২০০৩ সাল হবে। চট্টগ্রাম জেলা দলের হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের দলে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, আল শাহরিয়ার রোকন খেলেছিল। আমার সাথে টস করতে নেমেছিল চাঁদপুরের অধিনায়ক গাজী আলমগীর। যতদূর মনে পড়ে বৃষ্টি বিঘিœত হয়েছিল ম্যাচটি। আমরা জিতেছিলাম, রোকন রান পেয়েছিল। খেলার পাশাপাশি আরেকটা ব্যাপার খুব ভালো মতো মনে আছে। সেটা হলো, চাঁদপুরের ক্রীড়া সংগঠকদের আতিথেয়তা। সবাই খুব আপ্যায়ন করিয়েছিল।
জা. চৌ : ইলিশ অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
আকরাম : খুবই ভালো। ইলিশ শুধু আমার নয়, আমার পরিবারের মোটামুটি সবাই খুব পছন্দ করে। সেইবার অনেক ইলিশ খেয়েছিলাম এবং আসার সময় নিয়েও এসেছিলাম আত্মীয় স্বজনের জন্যে, সবাই খুব খুশি হয়েছিল। আশা করি এবারও ইলিশ খাবো ( হা হা হা )।
জা. চৌ : চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিনিধি হয়ে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে। এক অর্থে চাঁদপুরের ক্রিকেটেরও অভিভাবক আপনি। তো এই জেলার ক্রিকেটের খোঁজ-খবর কতটুকু রাখা হয়?
আকরাম : প্রথমেই আমি ধন্যবাদ জানাই জাহিদুল ইসলাম রোমান ভাইকে বিসিবি কাউন্সিলর কাপ আয়োজনের জন্যে। রোমান ভাই দায়িত্ব নিয়ে প্রথম বছরেই এমন একটা আয়োজন করেছেন জেনে খুব ভালো লেগেছে। শুনেছি ২৪টা দল অংশ নিবে, সেখানে চাঁদপুরের বাইরের দলও আছে, চট্টগ্রাম থেকেও দুটি দল আসছে। দারুণ টুর্নামেন্ট হবে বলে মনে হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, এই সব টুর্নামেন্ট থেকে নতুন খেলোয়াড় পাওয়া যায়। আশা করি এই টুর্নামেন্টও ব্যতিক্রম হবে না।
জা. চৌ : যদ্দুর জানি ২ সেপ্টেম্বর আপনার দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ছিলো।
আকরাম : ঠিকই শুনেছেন। আসলে রোমান ভাইয়ের আইডিয়াটা আমার এতোই ভালো লেগেছে যে, আমি বিদেশ সফর বাদ দিয়ে চাঁদপুর যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি ভালো একটি আয়োজন দেখতে পাবো।
জা. চৌ : এইতো গেলো বিসিবি কাউন্সিলর কাপের কথা। এর বাইরে চাঁদপুরের ক্রিকেটের অন্য খবর?
আকরাম : যেহেতু চাঁদপুর আমার বিভাগের জেলা। তাই এখানকার খবর রাখা আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বাবু ভাইয়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করি। রোমান ভাইয়ের সাথেও কথা হয়। এই জেলার একটি বিষয় আমার খুব ভালো লেগেছে, সেটা হলো, গেল ৬/৭ বছর চাঁদপুর থেকে বিভাগীয় পর্যায়ের বয়সভিত্তিক দলের জন্য অনেক ক্রিকেটার পাচ্ছি। এতেই প্রমাণিত হয়, ক্রিকেট এই জেলায় নিয়মিত চর্চা হয়। এভাবে চলতে থাকলে জাতীয় দলে আরও বেশি চাঁদপুরের ক্রিকেটার দেখতে পাবো বলে আমার বিশ্বাস।
জা. চৌ : এরই মধ্যে চাদঁপুরের দুজন ক্রিকেটার বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলেছে। তাদের কেমন দেখছেন?
আকরাম : আপনি শামীম পাটওয়ারী ও মাহমুদুল হাসান জয়ের কথা বলছেন। দুজনেই খুব ভালো খেলোয়াড় বলেই জাতীয় দল পর্যন্ত যেতে পেরেছে। আমার মতে শামীম ও জয়ের সবে মাত্র শুরু। তাদের সামনে অনেক সময় পড়ে আছে। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ দলকে দুজনই দীর্ঘ সময় সার্ভিস দিতে পারবে। এই জেলার আরেকজনও কিন্তু আছে, যার নাম মেহেদী হাসান রানা। বিপিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ভালো করছে। এখনো জাতীয় দলে সুযোগ পায়নি। কিন্তু ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে রানাও একদিন জাতীয় দলে চলে আসবে।
জা. চৌ : আপনি তো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানে দায়িত্ব পালন করছেন, চাঁদপুর নিয়ে কোনো ভাবনা?
আকরাম : আমি আগেই বলেছি, এই জেলার ক্রিকেটের খোঁজ-খবর রাখা আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। তাই চাঁদপুরের ক্রিকেটের যে কোনো প্রয়োজনে সাড়া দিতে আমি সব সময় প্রস্তুত আছি। চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে যে কোনো ধরনের প্রস্তাব পেলে আমার সাধ্যমত চেষ্টা করবো।
জা. চৌ : আপনাকে ধন্যবাদ।
আকরাম খান : চাঁদপুর এবং চাঁদপুরের ক্রিকেটের জন্যে শুভ কামনা রইলো এবং বিসিবি কাউন্সিলর কাপের সাফল্য কামনা করছি।