প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৫, ২১:২৭
কুমিল্লা বোর্ডে শীর্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পিছিয়ে চাঁদপুর

লতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন ছয় জেলার মধ্যে পাসের হারে সবচেয়ে ওপরে আছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। সবচেয়ে নিচে অবস্থান চাঁদপুর জেলার।
|আরো খবর
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই ২০২৫) দুপুরে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শামছুল ইসলাম ফলাফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ওই ফলাফলের বিবরণীতে এসব তথ্য জানা গেছে।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। বোর্ডের মধ্যে ৬৯ দশমিক ২৪ শতাংশ পাসের হার নিয়ে সবচেয়ে ওপরে অবস্থান নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ৫৫ দশমিক ৯২ শতাংশ পাসের হার নিয়ে সবচেয়ে নিচে চাঁদপুর জেলা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে এবার ২৪৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ২৩ হাজার ৪৭১ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ১৬ হাজার ২৫১ জন কৃতকার্য হয়। এ জেলা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪৭৫ জন পরীক্ষার্থী।
৬৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ পাসের হার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ফেনী জেলা। ফেনীর ১৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ১৬ হাজার ৪৪২ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ১০ হাজার ৯৬৫ জন পাস করে। ফেনী জেলায় এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ১২৫ জন।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলা। এ জেলায় এবার ১৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ হাজার ৭৬৩ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ১০ হাজার ৩৯৮ জন সফলতা পায়। এ জেলায় পাসের ৬৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আর ৮৫৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ৬৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ পাসের হার নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কুমিল্লা জেলা। এ জেলার ৬০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ৫৭ হাজার ৩৩১ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৩৭ হাজার ৩০৮ জন পাস করেছে। কুমিল্লা জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ২৮৫ জন। পরে পঞ্চম স্থানে অবস্থান নোয়াখালী জেলার। এ জেলায় এবার পাসের হার ৫৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। নোয়াখালীর ৩০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এবার মোট ২৯ হাজার ৯১৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ১৭ হাজার ৮৭৬ জন কৃতকার্য হয়। এ জেলা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯৪ জন।
কুমিল্লা বোর্ডে এবার সবচেয়ে কম পাসের হার চাঁদপুর জেলায়। চাঁদপুরের ২৮৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এবার মোট ২৪ হাজার ৬৪৯ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ১৩ হাজার ৭৮৩ জন পাস করেছে। চাঁদপুর জেলায় পাসের হার ৫৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। এ জেলায় এবার ১ হাজার ৬৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শামছুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবার শতভাগ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। নকল নির্ভরতা থেকে শিক্ষার্থীদের বেরিয়ে আসতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান খারাপ ফলাফল করেছে, সেসব প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সূত্র : জাগো নিউজ।