প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৫, ২০:৪১
জেলা খেলাফত মজলিসের নিন্দা ও প্রতিবাদ

চাঁদপুর শহরের প্রফেসরপাড়া মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মসজিদের খতিব, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন আলহাজ্ব আনম নুরুর রহমান মাদানী সাহেবের ওপর এক মুসল্লি কর্তৃক ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় খেলাফত মজলিস, চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি তোফায়েল আহমদ ও সেক্রেটারি মাও. আবুল কালাম আযাদ গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। শুক্রবার (১১ জুলাই ২০২৫) জুমার নামাজ শেষে খতিব সাহেব মসজিদের বারান্দা দিয়ে বের হওয়ার সময় মুসল্লি বিল্লাল হোসেন তাকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। উপস্থিত মুসল্লিগণ তাৎক্ষণিক ইমাম সাহেবকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় এবং হামলাকারীকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
|আরো খবর
আহত খতিব নুরুর রহমান মাদানী একজন বিজ্ঞ আলেম, মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন মোবাল্লিগ এবং বর্তমানে বিভিন্ন মসজিদে জুমার খুতবা প্রদান করে থাকেন। তাঁর ওপর এ ধরনের পূর্বপরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা ইসলামী মূল্যবোধ ও মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘনের শামিল। হামলাকারী বিল্লাল হোসেন যে যুক্তিতে হামলা করেছে— তা ইসলাম ও শরীয়তের দৃষ্টিতেও গ্রহণযোগ্য নয়। যদি কেউ ইমাম সাহেবের বক্তব্যে দ্বিমত পোষণ করে, তাহলে শারঈ ও আইনগত পথে প্রতিকার চাওয়াই ইসলামের বিধান। আইন হাতে তুলে নেয়ার সুযোগ ইসলামে নেই।
খেলাফত মজলিস, চাঁদপুর জেলা শাখা দাবি জানাচ্ছে : ১. হামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। ২. হামলাকারীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. দেশের প্রতিটি মসজিদের ইমাম ও খতিবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ৪. সাম্প্রদায়িক উস্কানিতে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা চাঁদপুরের আলেম সমাজ, মুসল্লি ও শান্তিপ্রিয় জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই— এ ঘটনায় বিচলিত না হয়ে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন এবং আইনি প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার জন্যে সোচ্চার থাকুন। আল্লাহ আমাদের প্রিয় খতিব সাহেবকে দ্রুত আরোগ্য দান করুন এবং দুষ্কৃতিকারীদের যথোপযুক্ত শাস্তি দিন—আমিন।