শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৫, ১৬:৪৬

বিশিষ্ট আলেমের ওপর হামলা

মসজিদের খতিবকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, হামলাকারী আটক

স্টাফ রিপোর্টার।।
মসজিদের খতিবকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, হামলাকারী আটক

চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়ায় মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে এক উন্মাদ মুসল্লি খতিবকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। এতে হামলাকারীকে সাথে সাথে অন্য মুসল্লিরা আটক করে এবং তার হাতে থাকা চাপাতি উদ্ধার করে। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আহত খতিব মাওলানা আ. ন. ম. নূরুর রহমান মাদানী(৬০)কে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে কর্মরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় রেফার করেন। 

শুক্রবার (১১ জুলাই ২০২৫) দুপুর পোনে দুটার সময়  নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটানো হয়।

খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের এসআই নাজমুল সঙ্গীয় ফোর্স উত্তেজিত মুসল্লিদের হাত থেকে হামলাকারী বিল্লাল হোসেন (৫০)কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।  মো. বিল্লাল হোসেন  চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের  মনোহরখাদি গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। 

আহত খতিব নূরুর রহমান মাদানী মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মোবাল্লেগ এবং বর্তমানে চাঁদপুরের  বিভিন্ন  মসজিদে জুমার নামাজের সময় খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ গুনরাজদী এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামাজ শেষে হঠাৎ করেই মো. বিল্লাল হোসেন (৫০) নামের এক তরকারি বিক্রেতা মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে খতিবকে চাপাতি দিয়ে কানের গোড়ালিতে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। হামলাকারী বিল্লাল হোসেনের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মনোহরখাদিতে হলেও বর্তমান ঠিকানা চাঁদপুর শহরের ৭ নম্বর বকুলতলা রোড এলাকায়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সৈয়দ আহমদ কাজল জানান, আহত খতিবের জখম  হওয়া স্থানে ১০ থেকে ১২টি সেলাই লেগেছে।

স্থানীয়রা জানান, হামলাকারী বিল্লাল হোসেন কিছুদিন আগে খতিবের একটি খুতবায় নবী করীম (সা.) কে 'ইসলামের বার্তাবাহক' বলার বিষয়টিকে অপমান হিসেবে ধরে নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন। হামলার সময় চাপাতির সঙ্গে একটি নোটও ছিলো, যাতে লেখা ছিলো, আমার নবীজিকে অপমান করার কারণে তাকে হত্যা করা হলো। তবে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বলেন, খতিব কোনোভাবেই এমন বক্তব্য দেননি, যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। বরং এটি ছিলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি উগ্র কর্মকাণ্ড।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় মুসল্লি ও এলাকাবাসী। তারা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে আহতের ছেলেরা বলেন, আমরা অবশ্যই মামলা করবো। মসজিদ কমিটিসহ আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করবো। 

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, আসামিকে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হচ্ছে। 

এই ঘটনায় পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়