প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৪
দিপু মিঠু হৃদয়ের অনুপ্রেরণায় সুবাতাস বইছে শাহরাস্তির ক্রীড়াঙ্গনে

শাহরাস্তি উপজেলার ঝিমিয়ে পড়া ক্রীড়াঙ্গনে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এক সময় খেলাধুলায় মুখরিত থাকতো তরুণ সমাজ। স্কুলের টিফিনের ফাঁকে অথবা ছুটির পরে বই বা স্কুল ব্যাগ রেখে শিক্ষার্থীরা নেমে পড়তো খেলার মাঠে। যুব সমাজ তখন ছিলো খেলার নেশায় বিভোর। ব্যস্ত সময় কাটতো পড়ার টেবিলে ও খেলার মাঠে। বর্তমানে শৈশবের সেসব খেলার স্মৃতি আর চোখে পড়ে না! নতুন প্রজন্ম খেলাধুলার চেয়ে মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। বল পায়ে ব্যাট হাতে নেওয়ার চেয়ে এখন মোবাইল ফোনে গেমস খেলাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তরুণ সমাজ। পাশাপাশি রয়েছে মাদকের কালো ছায়া। খেলাধুলার প্রতি মুখ ফিরিয়ে নেয়া মোবাইল ও মাদকের নেশায় আসক্ত হওয়া থেকে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে খেলাধুলার বিকল্প নেই বলে সচেতন মহল মনে করে। আগের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। নিয়ম রক্ষার ফটোসেশন করে দায় এড়িয়ে চলছেন অনেকেই। শাহরাস্তি উপজেলার ভঙ্গুর ক্রীড়া জগতকে উজ্জীবিত করতে এগিয়ে এসেছেন ক্রীড়ানুরাগী প্রবাসী জাহিদুল ইসলাম দিপু, ক্রীড়া সংগঠক সাদ্দাম হোসেন মিঠু ও আমিমূল এহসান হৃদয়। ২০২২ ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপকে সামনে রেখে স্বাগতিক কাতারের সমর্থনে মিছিল বের করে আলোচনায় আসেন কাতার প্রবাসী জাহিদুল ইসলাম দিপু। এরপর তিনি উপজেলার অষ্টগ্রাম স্পোর্টিং ক্লাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। শুধু অষ্টগ্রাম নয়, উপজেলার যে কোনো টুর্নামেন্টে তার সহযোগিতা অবধারিত হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই তিনি ঘোষণা করেছেন, খেলাধুলার সাথে সবসময় নিজেকে সম্পৃক্ত রাখবেন।
উপজেলা ক্রীড়াঙ্গনের আরেক আলোচিত মুখ সাদ্দাম হোসেন মিঠু। শাহরাস্তি প্রিমিয়ার লিগ সিজন-১ ও ২ আয়োজন করে শুধু শাহরাস্তিতে নয়, দেশ বিদেশেও শাহরাস্তিকে তুলে ধরেছেন। তার আমন্ত্রণে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল, সাইফুদ্দিনের মতো তারকা খেলোয়াড়দের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন আমন্ত্রিত অতিথিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে সূচীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ। সাদ্দাম হোসেন মিঠু জানান, নতুন আঙ্গিকে শাহরাস্তি প্রিমিয়ার লিগ সিজন-৩ আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করছেন তিনি।
শাহরাস্তি পৌর শহরের আরেক উদীয়মান ক্রীড়ামোদী আমিমূল এহসান হৃদয়, যিনি শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মিয়াজীর একমাত্র ছেলে। তার পিতার স্মৃতিতে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে ক্রীড়ামোদী দর্শকদের মাঠে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনটি সকলের নজর কাড়ে। হৃদয় জানান, যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে তার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
ক্রীড়াঙ্গনে গতি ফিরিয়ে আনতে দিপু, মিঠু, হৃদয়ের মতো আরো অনেকেই এগিয়ে আসা উচিত। তরুণ সমাজকে মাঠে ফিরিয়ে আনা গেলে মাদক, ইভটিজিংসহ মোবাইলের আসক্তি কমে আসবে।