প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান কাটা হয়। রোদের দিন দেখে ধান কাটতে হবে। ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় আমন ধান শতকরা ৮০ ভাগ পাকলে কেটে ফেলতে হবে। আমন ধান কাটার পরপরই জমি চাষ দিয়ে রাখতে হবে, যাতে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে মাটির রস কম শুকায়।
চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় শীতকালীন শাক-সবজি, আলু, মিষ্টি আলু আবাদ করা যেতে পারে। বেড়িবাঁধের ভেতরে টমেটো, মিষ্টিকুমড়া চাষ করা যায়। বোরো ধানের বীজতলা তৈরি শুরু করতে হবে। অগ্রহায়ণ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত খরা সহনশীল ছোলা, মুগ, তিল, তিসি, যব ইত্যাদি বপন করতে পারবেন। গম বীজ বপন সম্পূর্ণ করতে হবে। গম যত দেরিতে বপন করা হবে, ফলনও সে হারে কমে যাবে। বীজ বপনের আগে অনুমোদিত ছত্রাকনাশক দ্বারা বীজ শোধন করে নিতে হবে। সেচযুক্ত চাষের জন্যে বিঘাপ্রতি ১৬ কেজি এবং সেচবিহীন চাষের জন্যে বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি বীজ বপন করতে হবে। ভুট্টা আবাদ করতে হলে এ মাসের মধ্যে জমি তৈরি করে বীজ বপন করতে হবে। তেল ফসলের মধ্যে সরিষা অন্যতম। তা ছাড়া তিল, তিসি, সূর্যমুখী আবাদ করতে পারেন। চরাঞ্চলে এ মাসে আলু আবাদ শুরু করা যায়। অন্যান্য স্থানে রোপণকৃত আলু ফসলের যত্ন নিতে হবে। মাটির কেইল বেঁধে দিতে হবে এবং কেইলে মাটি তুলে দিতে হবে।