রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

মতলবের কৃতী সন্তান ড. এএইচ খান রচিত ‘ফাদার অব দ্য নেশন’ এখন বিশ্ব দরবারে
মুহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ ॥

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অনেকেই অনেক লেখা লিখেছেন। গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস এবং কাব্যগ্রন্থ। পেয়েছেন নানা খ্যাতি। অনেকের লেখা দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্থান পেয়েছে। এতে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা সাহিত্য, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পেয়েছে এক অন্যরকম বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণামূলক এমনি একটি গ্রন্থ ‘ফাদার অব দ্য নেশন’। যার লেখক মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২নং নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচ ঘড়িয়া খান বাড়ির মরহুম মকবুল খানের বড় ছেলে ড. এএইচ খান। তাঁর পিতাকে সবাই মকবুল ১, ২, ৩, ৪ লঞ্চের মালিক হিসেবে চিনেন।

ড. খান গ্রিন ইউনিভার্সিটির একজন শিক্ষক এবং ডিরেক্টর। স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্বেও আছেন তিনি। বহু বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন উৎস থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণসমূহ এবং নিজ হাতে লেখা চিঠিপত্র সংগ্রহ করেন। সংগৃহীত এ তথ্য ভাণ্ডারকে আপামর জনতার হাতে পৌঁছে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নির্বাচিত ভাষণ ১-৪ খণ্ডে। তিনি বঙ্গবন্ধুর পূর্ণাঙ্গ জীবনী রচনা করেছেন উপন্যাসের মাধ্যমে। গ্রন্থটি ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়। বইটির প্রকাশনা উৎসবের দিন রাতেই অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সরকারের রোষানলে পড়েন এবং মিথ্যা মামলায় আটক হন।

ইতোমধ্যে বইটি বাংলা ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুদিত হয়েছে। ইংরেজিতে অনুবাদ হওয়া ‘ফাদার অব দ্যা নেশন’ এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেট প্লেস এমাজান.কম-এ আপলোড হয়েছে। ফলে ড. আফজাল হোসেন খান (এএইচ খান) লেখা ‘ফাদার অব দ্য নেশন’ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন আন্তর্জাতিক পাঠকের হাতে। দেশকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা, ত্যাগ ও সংগ্রামের প্রামাণ্য পাণ্ডুলিপি দেখতে পাচ্ছে বিশ্ব পাঠক।

ছাত্রজীবন থেকেই ড. আফজাল হোসেন খান লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত। স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর সাথে সাথেই প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘হৃদয়ে রক্তক্ষরণ’। তারপর একে একে প্রকাশিত হয়েছে উপন্যাস ‘ঘর পালানো মেয়ে’, ‘শ্রাবণীর শ্রাবণে’, কবিতার বই ‘এই মেয়ে’। জাতীয় কবিকে নিয়ে তাঁর গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘নজরুল জীবন কথা’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিয়ের নানান রীতিনীতি নিয়ে ‘বিয়ে’ তাঁর একটি তথ্যবহুল গ্রন্থ। তিনি হযরত সোলাইমান শাহ এবং শেখ হাবিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে লিখেছেন ‘দোহাই লেংটা’ ও ‘শেখ হাবিবুর রহমান সাহিত্য রত্ন ও তাঁর অবদান’ নামক গ্রন্থ।

ড. খানের ইউসুফ জুলেখা, রাধাকৃষ্ণসহ একাধিক গ্রন্থ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল রচনার সংকলন প্রকাশ করেন ‘স্মৃতি বড় মধুর স্মৃতি বড় বেদনার’ নামে। তিনি বাংলাদেশ কালচারাল ফোরামের সভাপতি এবং নানা সংগঠনের সদস্য হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করছেন। তিনি অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্র, টেলিফিল্ম, নাটক ও মঞ্চে। লিখেছেন অসংখ্য গান। তাঁর রচিত ফাদার অব দ্যা নেশন অবলম্বনে হয়েছে যাত্রা, নাটক। ব্যক্তি জীবনে তিনি এক সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী বিসিএস কর্মকর্তা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়