প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২২:০৬
শাহরাস্তিতে বাউবি পরীক্ষা কেন্দ্রে বড় ধরনের অনিয়ম!

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার শাহরাস্তি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনিয়মের সংবাদ পেয়ে কেন্দ্রে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার। শুক্রবার (১১ এপ্রিল ২০২৫) বিকেলে বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়টি চোখে পড়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা মো. শাহজাহান মিয়ার। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার কেন্দ্রে হাজির হন। তিনি দু ঘন্টা উপস্থিত থাকার পর বিকেল ৫টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা কেন্দ্রে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত শেষে রাত সোয়া ৭টায় বেরিয়ে আসেন। এ সময় সংবাদ কর্মীরা তাঁদের কাছে জানতে চাইলে কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই তাঁরা চলে যান।
দুজন পরীক্ষার্থী জানায়, এ পরীক্ষায় ২৭জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। কিন্তু উপস্থিতির জায়গায় ৩০জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর থাকার বিষয়টি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নজরে আসে।
পরীক্ষা শেষে ফরহাদ নামে এক শিক্ষার্থীর কাছে সংবাদকর্মীরা জানতে চাইলে তার আইডি কার্ডের সাথে ছবির মিল না পাওয়ায় সে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানান, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ২৭জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতায় ৩০জনের স্বাক্ষর দেখে বিষয়টি সন্দেহ হয়।
কেন্দ্রে গিয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর মিলিয়ে গরমিল পাওয়া যায়।
এছাড়া তিনি আরো জানান, সকাল বেলার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় ৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও উত্তরপত্র পাওয়া যায় ৩৫টি।
জানা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন অফিস সহকারী নারায়ণ চন্দ্র দাস। এ ঘটনার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানার নিকট জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে কেন্দ্র সচিবের কাছ থেকে জেনে নেয়ার কথা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব শাহরাস্তি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ঈমান হোসেন সাংবাদিকদের বক্তব্য না দিয়ে স্কুল থেকে বেরিয়ে পড়েন।
এলাকাবাসী অনেকেই জানান, একটি চক্র প্রতিবছর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অনিয়ম করে আসছে। বিপুল অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই বাইরে খাতা নিয়ে পরীক্ষা শেষে জমা দেয়ার গুঞ্জন রয়েছে।