প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
কচুয়া উপজেলার ৭নং সদর দক্ষিণ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে উক্ত ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ খন্দকার (৩৭) ও তার স্ত্রী ফারহানা আক্তার (৩১)কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে হোসেনপুর খন্দকার বাড়িতে এ হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত নূর মোহাম্মদ খন্দকারের স্ত্রী ফারহানা আক্তার মঙ্গলবার স্বামীর সৎ ভাই মাহফুজ (৪৭), তার স্ত্রী রানু বেগম (৩৫) ও মামা লিটন (৫৫)কে আসামী করে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বাদীর লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, হোসেনপুর খন্দকার বাড়ির মঞ্জুর আহমেদের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ খন্দকার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে করইশ জামাই পাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। ২৪ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে তার সৎ ভাই তাদের অবর্তমানে তার দখলীয় জমির ফল গাছ থেকে বিভিন্ন ফল-ফলাদি ছিঁড়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে নূর মোহাম্মদ খন্দকার ও তার স্ত্রী গ্রামের বাড়ি হোসেনপুরে গিয়ে তার ভাই ও ভাবীকে বাধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে উভয়ে বাকবিত-ায় জড়িয়ে পড়ে। তারা পূর্বের জায়গা সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তুমুল ঝগড়ার সৃষ্টি হলে মাহফুজ নূর মোহাম্মদের স্ত্রী ফারহানাকে মারধর শুরু করেন এবং মাহফুজের স্ত্রী রানু বেগম ফারহানাকে কাঠের হাতল দিয়ে মারার ফলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুল জখম হয়। এতে নূর মোহাম্মদ বাধা দিলে তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। পরবর্তীতে বাড়ির অন্যান্য লোকজন এসে তাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা করায় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
নুর মোহাম্মদ খন্দকার ও তার স্ত্রী কচুয়া আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষিকা ফারহানা আক্তার জানান, তারা কচুয়া থানাধীন ৬৩নং হোসেনপুর মৌজার বি.এস. ৫৪৮ নং খতিয়ানে হাল ৯৭৪/৯৭৫/৯৭৬/৯৭৭/৯৮০/৯৮৬ দাগে ২৯.২৭ শতক বাগান, পুকুর ও ভিটিবাড়ি এবং ৫২৪ নং খতিয়ানে ৯৮১ দাগে ১১.৫০ শতক ভিটি দোকান শফিকুল ইসলাম ও মফিজুল ইসলাম গংয়ের নিকট থেকে ক্রয় করে দখল করে আসছেন। তার সৎ ভাই লোভী প্রকৃতির মানুষ। তার মামা লিটনের উস্কানিতে সে তার এই ক্রয় করা সম্পত্তির অংশীদার দাবি করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে তাকে মারধর করে থাকে। ইতিপূর্বে তিনি ও তার স্ত্রী কচুয়া থানায় বেশ ক’টি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার)-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
নূর মোহাম্মদের সৎ ভাই মাহফুজের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি এবং হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ করলেও তার সন্ধান মিলেনি। কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চলে যান।
কচুয়া থানার ওসি মোঃ মহিউদ্দিন জানান, হোসেনপুর গ্রামে দুই ভাইয়ের মারামারির ঘটনায় দুপক্ষের লোকজনই আহত হয়েছে। একটি পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং অপর পক্ষ অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরেজমিনে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।