সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৩, ০০:০০

চাঁদপুর কণ্ঠের ৩০ বছরে পদার্পণ ও আমার সাংবাদিকতা
পলাশ দে

আমার এ ছোট্ট জীবনের পথচলায় প্রতিনিয়তই বিভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করছি, শিখছি এবং নতুনকে জানতে চেষ্টা করছি।

আমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা চাঁদপুর সদর উপজেলার বাবুরহাট সংলগ্ন দাসদী গ্রামে। যা বর্তমানে চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডে। তাই এখন আর গ্রাম তেমন বলি না, বরং কেউ যদি জিজ্ঞেস করে বাড়ি কোথায় তখন উত্তরে গৌরব ও গর্ব করে বলি, চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট দাসদী এলাকায় আমার বাড়ি।

শিশুশ্রেণীতে পড়ালেখা অবস্থায়ই চাঁদপুর শহরে আসা হতো। ছোটবেলা থেকেই শহর খুব ভালো লাগতো। এছাড়াও শহরে নিকটাত্মীয়/স্বজন থাকার কারণে বেশি আসা-যাওয়া ছিলো। এক সময় মায়ের খুব ইচ্ছে হলো আমাকে গান শিখার স্কুলে ভর্তি করাবেন। তবে আমার বাবার খুব ভয় হয় যে, আমি চলাচলে কখনো হারিয়ে যাই কি না, বুঝ করে চলতে পারি কি না ইত্যাদি। সব সময়ই আমার কিন্তু আগ্রহ বেশি ছিলো সৃষ্টিশীল ব্যক্তিত্বের কাছাকাছি যাওয়া এবং স্নেহ-ভালোবাসা পাওয়া, মানুষের কল্যাণকর কাজে বেশি এগিয়ে আসা, সর্বোপরি ভালো কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখা।

এক পর্যায়ে চাঁদপুর ললিত কলার শ্রদ্ধেয় সঙ্গীত গুরু শীতল ঘোষালের (বর্তমানে প্রয়াত) কাছ থেকে গান তথা হারমোনিয়াম বাজানোর মাধ্যমে গান শিখা শুরু করলাম। এর পাশাপাশি অভিনয় শেখা সহ সৃষ্টিশীলতার সাথে মিশে যেতে লাগলাম। আমায় খুব স্নেহ-আদর করতেন শ্রদ্ধেয় শীতল ঘোষাল ও তাঁর একান্ত বন্ধু গীতিকবি ও লেখক মুখলেসুর রহমান মুকুল (বর্তমানে প্রয়াত)। আজো তাঁদের বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা স্মরণ করে চলি।

শহরের বন্ধু রিংকু সিংহ রায়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সেবামূলক ক্লাব চাঁদপুর ইন্টার‌্যাক্ট ক্লাবের সদস্য হলাম এবং বেশ ক’বছর ইন্টার‌্যাক্ট ক্লাব ও রোটার‌্যাক্ট ক্লাবের সদস্য হিসেবে অনেক শিখেছি, জেনেছি ও চমৎকার অনুভূতিময় সময় কাটিয়েছি।

১৯৯৭ সালের শেষের দিকে চাঁদপুর শহরে প্রতিষ্ঠা করি মুম্বাইয়া মেগাস্টার, বাংলা-বাঙালির গৌরব ও গর্ব অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর অনুমতি নিয়ে অরাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক সেবা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠন মিঠুন ফ্রেন্ডস্ অ্যাসোসিয়েশন নামের সংগঠন। তখন স্থানীয়ভাবে খবরের কাগজ (পত্রিকা) হাতে গোণা কয়েকটি ছিলো। চাঁদপুর কণ্ঠ সাপ্তাহিক থেকে শুরু করে দৈনিক হলো। সাংগঠনিক কার্যক্রমের খবর দিতে ছুটে যেতাম চাঁদপুর কণ্ঠ অফিসে--যতটুকু মনে পড়ে হকার্স মার্কেটে।

চাঁদপুর ললিত কলা, ইন্টার‌্যাক্ট ও রোটার‌্যাক্ট ক্লাব পরর্বতীতে মিঠুন ফ্রেন্ডস্ অ্যাসোসিয়েশন সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি সহ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আসতাম। পরের দিন যখন ছবি সহ নিউজ হাতে পেতাম, তখন মনে খুব আনন্দ ও উৎসাহ সৃষ্টি হতো।

একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে শহীদদের স্মৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের ছবি দিয়ে সাংবাদিক রহিম বাদশা চাঁদপুর কণ্ঠে মিঠুন ফ্রেন্ডস্ অ্যাসোসিয়েশন সংগঠনের সংবাদ বেশ বড় করে প্রকাশ করে দিলেন। সেই স্মৃতির আনন্দ ভুলবার নয়। চাঁদপুর শহরের সিনিয়র সাংবাদিক এবং পত্রিকার সম্পাদকগণের স্নেহ-ভালোবাসায় আমি সত্যিই ধন্য ও কৃতজ্ঞ।

সংস্কৃতি চর্চা, সমাজসেবা এবং ক্রীড়ামূলক অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে সেটি খবরের কাগজে ছাপানোর চিন্তা থেকে মুক্ত হতে উৎসাহ সহ স্নেহ পেয়েছি বিশেষ করে শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত, মির্জা জাকির, বিএম হান্নান, শহীদ পাটোয়ারী, মাহবুবুর রহমান সুমন ও প্রয়াত সাংবাদিক দৈনিক চাঁদপুর দর্পণ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শ্রদ্ধেয় ইকরাম চৌধুরীর নিকট থেকে। শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক বি এম হান্নান, শহীদ পাটোয়ারী, মাহবুবুর রহমান সুমন ও রহিম বাদশা দীর্ঘ দিন ধরে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে সাংবাদিক হিসেবে ছিলেন। পরে তাঁরা দৈনিক ইলশেপাড়, দৈনিক চাঁদপুর প্রবাহ, দৈনিক চাঁদপুর বার্তা পত্রিকা প্রকাশ পেলে ওই পত্রিকাগুলোর বিভিন্ন দায়িত্ব নিয়ে নেন।

আমার অবশ্য সাংবাদিকতা করবো এমন চিন্তা মনে ছিলো না। সাংগঠনিক কাজের খবর বা নিউজ দিতে গিয়ে সকলের সাথে পরিচিতি লাভ করায় হঠাৎ একদিন শ্রদ্ধেয় ইকরাম চৌধুরী বললেন, সাংবাদিক হও, কাজ কর, নিউজ পাঠাও ইত্যাদি। এভাবে তিনি উৎসাহিত করেন। কিন্তু আমি মনের ভয়ে কখনোই ইকরাম চৌধুরী ভাইয়ের কথা মতো নিউজ পাঠাতাম না। তিনি আমাকে দেখলেই শুধু বলতেন, চাঁদপুরে আছো, সংগঠন কর, পাশাপাশি সাংবাদিকতা করলে সমস্যা কোথায়? ইকরাম ভাইকে তাঁর কথার উত্তরে বললাম, না ভাই, আমাকে দিয়ে সাংবাদিকতার মতো কঠিন কাজ করা সম্ভব না। পরে একদিন ইকরাম ভাই তাঁর দর্পণ অফিসে এক বিশেষ প্রয়োজনে গেলে তখন তিনি সাংবাদিক শ্রদ্ধেয় লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর দাদাকে ডেকে বললেন, লক্ষ্মণ, তুমি পলাশকে সাংবাদিক কীভাবে হবে তার নিয়ম কানুনগুলো শিখিয়ে দাও। সাংবাদিক লক্ষ্মণ দা আমাকে ইকরাম ভাইয়ের কথা মতো হাতে কলমে সাংবাদিকতার বিষয় মোটামুটি বুঝিয়ে দিলেন।

তারপর ধীরে ধীরে সাহস নিয়ে সাংবাদিকতায় এগুতে শুরু করলাম। অসুস্থতার কারণে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্যে ভারতে আসা-যাওয়ায় সাংবাদিকতার কাজ থেকে বিরত থাকলাম। এর ফাঁকে বর্তমানে চাঁদপুর জেলা পরিষদে কর্মরত শেখ মহিউদ্দিন রাসেল ভাইয়ের মাধ্যমে আঃ রহমান স্যারের সম্পাদিত পত্রিকা দৈনিক চাঁদপুর সংবাদে অল্প কিছু দিন নিউজ দিই। শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া জীবন সংবাদ অফিসে সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন, তখন আমি সেই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছিলাম। অবশ্য তখনও সাংবাদিক হিসেবে কেউ আমাকে জানতেন না এবং চিনতেন না। যতদূর মনে পড়ে, ২০০২ সালের শেষের দিকে বাবুরহাটে আমরা ক’জন বন্ধু আড্ডায় আছি, বন্ধু শামীম আমায় বললো, পলাশ তোকে শহীদ পাটোয়ারী ভাই জরুরি দেখা করতে বলেছেন। তো একদিন কালীবাড়ি মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি, হঠাৎ শহীদ পাটোয়ারী ভাইয়ের সাথে দেখা ও কথা হয়। তিনি আমাকে উৎসাহিত করে বলেন, তুমি চাঁদপুর কণ্ঠ অফিসে আসো, কাজী শাহাদাত ভাইয়ের সাথে দেখা করো। তারপর শহীদ ভাইয়ের কথা মতো কণ্ঠ অফিসে গিয়ে প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত ভাইয়ের সাথে দেখা করলাম। তিনি অবশ্য পূর্ব থেকে আমাকে চিনতেন, যেহেতু প্রায়শই সাংগঠনিক কাজের খবর পত্রিকায় প্রকাশ করতে অফিসে যাওয়া-আসা ছিলো।

শ্রদ্ধেয় কাজী শাহাদাত ভাই তখন আমাকে বললেন, তুমি সম্পাদক ও প্রকাশক বরাবর নিয়োগের জন্যে আবেদন করো বা লিখে নিয়ে আসো। তিনি যেদিন বলেছেন, ঠিক সেই দিনই শহরের বন্ধু রহমত উল্লাহ খানের কম্পিউটার টুমরো থেকে দরখাস্ত অতি সংক্ষিপ্ত ভাবে তৈরি করে নিয়ে কণ্ঠ অফিসে কাজী শাহাদাত ভাইয়ের ডেস্কের সামনে গিয়ে উপস্থিত হলাম। অতি সংক্ষিপ্ত দরখাস্তখানা দেখে কাজী শাহাদাত ভাই খুব হাসলেন....। তিনি তখন যুগ্ম সম্পাদক শ্রদ্ধেয় গিয়াসউদ্দিন মিলন ভাইকে ডেকে বললেন, মিলন! দেখোতো পলাশের দরখাস্ত ঠিক আছে কি না। তখন মিলন ভাইও হাসি দিয়ে বললেন, সংক্ষিপ্তভাবে লেখা, আচ্ছা ঠিক আছে চলবে।

কাজী শাহাদাত ভাই আমাকে দরখাস্ত রেখে নিয়োগ দিয়ে দিলেন। এভাবে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করলাম। কাগজে সংবাদ লিখে অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে আসতাম। তবে খুব বিলম্ব হতো ছবি ওয়াশ নিয়ে। ছবি প্রিন্ট করতে অনেক সময় লাগতো। এর মধ্যে বিদ্যুতের লোডশেডিং হলে তো কথাই নেই, ঘন্টার পর ঘন্টা ল্যাবে অপেক্ষা করতে হতো!।

মনের ভয়কে জয় করে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে রিপোর্ট দিয়ে আসতাম, পরের দিন প্রকাশ হতো। সেই দিনের যে কী আনন্দণ্ডউপভোগ, সেটি আর বলে-লিখে বোঝানো যাবে না কিছুতেই।

কণ্ঠ অফিসে আমার দেয়া বা পাঠানো নিউজগুলোর ভুল-ত্রুটিগুলো খুব সযত্নে শুদ্ধ করে ঘুচিয়ে দিতেন পারভেজ খান, মির্জা জাকির ভাই ও শাহ আলম মল্লিক ভাই। ওনাদের কাছ থেকেও অনেক শিখেছি এবং জেনেছি।

শ্রদ্ধেয় কাজী শাহাদাত ভাইয়ের ডেস্কে সপ্তাহে একদিন পত্রিকার প্রুফ পড়ার দায়িত্ব পালন ছিলো খুব আনন্দের, যদিও গভীর রাতে চাঁদপুর শহর থেকে বাবুরহাট আসতে কোনো যানবাহন পাওয়া যেত না। তাই মাঝে মাঝে কাজী শাহাদাত ভাই যত দ্রুত পারতেন আমাকে ছেড়ে দিতেন। আমি অনেক সময় রাত ৩টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া নাইট কোচের বাসে উঠে বাবুরহাট চলে আসতাম।

অফিস-দায়িত্ব তথা আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন বিল ইত্যাদি কঠিন ভাবে পালন করেছেন এবং করছেন ম্যানেজার সেলিম রেজা ভাই। আর মাঝে মধ্যে সোহাঈদ খান জিয়া। পত্রিকার পেস্টিংয়ের কাজে ছিলেন জাহাঙ্গীর ও আঃ মালেক। খুব মনে পড়ে, রাতের ডিউটিতে সবাই সবাইকে নিয়ে খুব মজা করতো ও খোশ গল্প হতো। তবে দুষ্টামি হতো কাজী শাহাদাত ভাইয়ের অগোচরে। কোনো রূপ ভুল হলে শাহাদাত ভাই ভয়ঙ্কর রেগে যেতেন।

রাতের নাস্তা ও লাল চা সবাই মিলে মিশে খেতাম। অনেক উদারতার সাথে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে কাজ করেছি।

শ্রদ্ধেয় কাজী শাহাদাত ভাইয়ের স্নেহ-আদর-ভালোবাসা এবং রাগ ও বকায় অনেক শেখেছি, যা জীবন চলায় খুবই প্রয়োজন ছিলো। যতটুকুই জেনেছি, শিখেছি এখন তা সততার সঙ্গে পালন করতে চেষ্টা করছি।

শুধু মনে কষ্ট হয়, খুব কষ্ট হয় এ ভেবে যে, কখনোই ভাবিনি চাঁদপুর কণ্ঠ অফিস থেকে বের হবো বা বের হয়ে যাবো...! কাজী শাহাদাত ভাইয়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত হবো কোনো এক নিষ্পাপ অভিযোগে! ২০১৩ সালের মার্চ মাসে যে চোখের জল বরণ করতে হবে তা ছিলো কল্পনাতীত। সেইদিন কী এমন অপরাধ ছিলো জানি না, তবুও অপরাধটুকু নিজ মাথায় নিয়ে জীবনের আনন্দময় সময় ও অফিসের লাল চায়ের মায়া ত্যাগ করে অপরাধী হিসেবে স্মৃতিময় হয়ে বের হয়ে চলে আসি। যা ভাবলে আজও আমাকে পীড়া দেয়।

চাঁদপুর কণ্ঠের ১৭তম জন্মদিন উপলক্ষে সংবাদকর্মী হিসেবে একটি ক্রেস্ট উপহার হিসেবে পেয়েছিলাম, সেই ক্রেস্টটি সযত্নে রেখেছি...।

চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকা প্রতিষ্ঠার পর ৩০ বছরে পদার্পণে খুব ভালো লাগছে, মনে আনন্দ বোধ করছি।

চাঁদপুর জেলা শহর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রকাশিত হয়ে আসছে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ। এ পথচলা সুদীর্ঘ হোক--সব সময় এই শুভ কামনায় আছি।

আমাদের চাঁদপুর জেলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি, কৃষি, মৎস্য চাষ, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ভাবধারা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো সহ সকল ভালো কাজের সৎ ভাবনা ও উদ্যোগকে পাশে নিয়ে এগিয়ে চলছে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ। আরো এগিয়ে যাবে, ডিজিটাল যুগে স্মার্ট বাংলাদেশের মাঝে স্মার্ট চাঁদপুরকে এগিয়ে নেবে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ--এ আমার বিশ্বাস।

সংবাদকর্মী হিসেবে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে আমার নাম প্রকাশিত না হলেও প্রথম ভালোবাসা যায় না ভোলা, সেই প্রেমের টানে চাঁদপুর কণ্ঠে জড়িয়ে আছি বিভাগীয় পাতায় পাতায়...।

আর আমার এই দূরত্বটা গুছিয়ে দিয়ে কণ্ঠের মেলবন্ধনে বিনি সুতার মালায় জড়িয়ে দিয়েছেন তরুণ গবেষক মুহম্মদ ফরিদ হাসান।

চাঁদপুর কণ্ঠ পরিবারকে অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও ৩০ বছর পদার্পণে অভিনন্দন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়