মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সলিম উল্লাহ লাভলু (৫৫) খুন হয়েছেন। গত ১ নভেম্বর মঙ্গলবার গভীর রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে বাড়ির কাছে ফেলে রেখে যায়। বুধবার (২ নভেম্বর) ভোরে বাড়ির নিকটস্থ রাস্তার পাশে লোকজন তার লাশ দেখে ডাক-চিৎকার দিলে জনপ্রিয় এই নেতার লাশ দেখতে মুহূর্তেই শত শত লোক ছুটে আসে।

উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের মান্দারতলী গ্রামের মরহুম আমির আলী মাস্টারের ছোট ছেলে সলিম উল্লাহ লাভলু স্থানীয় ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন দীর্ঘ অনেক বছর।

স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে সলিমউল্লাহ লাভলুর একমাত্র ছেলে ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া লাবিব আরেফীন প্রধানের সাথে স্থানীয় শিপনের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে বাগ্বিত-া হয়। এ নিয়ে গতকালই মোটরসাইকেল চালক শিপন, শানু বেপারীর ছেলে রাকিব (২২) ও নিজাম উদ্দিন ছৈয়ালের ছেলে তুহিন (২০)সহ ক’জন এসে সলিম উল্লাহ লাভলুকে শাসিয়ে যায়। ওইদিন গভীর রাতেই সলিম উল্লাহ লাভলু খুন হয়। তাই স্থানীয় অনেকের ধারণা, মোটরসাইকেলের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হয়তো সলিম উল্লাহ লাভলু খুন হয়েছেন।

ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম হোসেন জানান, ১৯৯৫ সালে স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে বিপুল ভোটে মেম্বার নির্বাচিত হন সলিম উল্লাহ লাভলু। পরবর্তীতে ২০১১ সালে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি ইউপি নির্বাচনে অংশ নেন। নিহত লাভলুর ১ ছেলে, ১ মেয়ে।

স্থানীয় মুজাদ্দেদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম জানান, নিহত সলিম উল্লাহ লাভলু আমাদের স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য হওয়ায় আমরা তার মৃত্যুর শোকে স্কুল বন্ধ রেখেছি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলীরাজা বেপারী বলেন, নিহত সলিম উল্লাহ লাভলু ভাই খুবই ভালো মানুষ এবং জনপ্রিয় মানুষ। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

নিহত সলিম উল্লাহ লাভলুর ভাই আহসান হাবীব প্রধান বলেন, আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, আমি এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।

মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলাম। লাশের ময়না তদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানানো যাবে।

এএসপি সার্কেল আবুল কালাম চৌধুরী ও মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।