সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৩, ০০:০০

এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ও দাহ্য পদার্থ একত্রে বিক্রি : মারাত্মক ঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

হাজীগঞ্জ বাজারসহ উপজেলার সকল ইউনিয়নের হাট বাজার ও জনবহুল স্থানের যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে লিকুইয়িড পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার, পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন, মবিল এমনকি কেরোসিন তেলসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ। সরকারি কোনো ধরনের নীতিমালা না মেনে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে এসব দাহ্য পদার্থ। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

গ্যাস সিলিন্ডার ও দাহ্য পদার্থ বিক্রিতে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের নিবন্ধন থাকা বাধ্যতামূলক। হাজীগঞ্জ বাজারসহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মেইন রাস্তার পাশে, মুদি দোকান, হার্ডওয়্যার এন্ড স্যানিটারী দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার। এ ছাড়াও বিভিন্ন দোকানে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বাজারে লিটার হিসেবে বিশেষ করে দুই লিটার, এক লিটার অথবা আধা লিটারসহ বিভিন্ন আকারের প্লাস্টিকের বোতলে পেট্রোল, ডিজেল ও মবিলের পসরা সাজিয়ে রাখা হয়। এসব দোকান থেকে যে কেউ ইচ্ছা করলেই গ্যাস সিলিন্ডার ও বোতলভর্তি এসব দাহ্যপদার্থ কিনতে পারেন। গ্যাস সিলিন্ডার ও দাহ্যপদার্থের এ সহজলভ্যতা এবং অবাধে বিক্রির ফলে সিএনজিচালিত অটোরিকশায়ও গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এতে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যার ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ।

সরকারি বিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রোল, ডিজেল ও মবিলসহ দাহ্য পদার্থ বিক্রির জন্যে কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধা-পাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা সংক্রান্ত লাইলেন্স ও অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। একজন ব্যবসায়ী এসব শর্ত পূরণ করলেই কেবল গ্যাস সিলিন্ডারসহ বিস্ফোরক দ্রব্য বা দাহ্যপদার্থ বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বা দাহ্যপদার্থ বিক্রি করা যাবে না। অথচ হাজীগঞ্জ বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারসহ দাহ্য পদার্থ।

২০০৩ সালের দাহ্যপদার্থ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি লাইসেন্স না নিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবসা করে, তার তিন বছরের কারাদণ্ড ও অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সব মালামাল বাজেয়াপ্ত করা যাবে বলেও আইনে বলা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাজীগঞ্জ বাজারের একজন ব্যবসায়ী জানান, চার/পাঁচ বছর পূর্বে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারস্থ কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে সিলিন্ডার ও দাহ্য পদার্থের দোকানে আগুন লাগে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতা ও অপর একজন দাহ্য পদার্থ বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা ছোট ব্যবসায়ী। আইন সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই। কাস্টমারের চাহিদা থাকায় ডিলারদের কাছ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার এবং পেট্রোল, ডিজেল ও মবিল এনে বিক্রি করি'।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রাশেদুল ইসলাম জানান , গ্যাস সিলিন্ডার ও দাহ্যপদার্থ বিক্রির সুনির্দিষ্ট বিধিমালা আছে। যত্রতত্র বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। অবৈধভাবে বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে খোঁজ নিয়ে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়