প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২০:২৮
হানারচরে মাছ চাষের ফিট নিয়ে বিরোধ।। প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৫

চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-এর সাথের ঝিলে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মোতালেব বেপারী ও নান্টু বেপারীর বাগবিতণ্ডা হয়। গত রোববার ( ৬ এপ্রিল ২০২৫) রাতে দুপক্ষের মাঝে এ নিয়ে তুমুল ঝগড়া-বিবাদের সৃষ্টি হয়।
পূর্বের বিরোধের জের ধরে গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল ২০২৫) বিকেলে মোতালেব বেপারীর নেতৃত্বে জসিম দেওয়ান, শাহজাহান দেওয়ান, কাদির, সাগর, খোকন, হাসিবসহ প্রায় ১৫/২০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম শফিক বেপারী ও তার ছেলে নান্টু বেপারীর বাড়িঘর ভাংচুর ও তাদের পরিবারের ওপর হামলা চালায়। বাড়িতে পুরুষশূন্য হওয়ায় নান্টু বেপারীর স্ত্রী মনি ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শারমিন বেগমকে মারধর করে আহত করা হয়।
এ বিষয়ে নান্টু বেপারী জানান, ফিট নিয়ে বিরোধের বিষয়টি বিএনপির নেতৃবৃন্দকে অবগত করা হলে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে মীমাংসার দায়িত্ব দেন। তারা সেটা না মেনে পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা করেন। তিনি আরো জানান, আমার ভাগিনা সুজন শেখের ওপর হামলা করলে সে গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া আমার স্ত্রী ও ফ্যামিলির ৫ জনকে মারধর করে গুরুতর জখম ও ঘরবাড়ি ভাংচুর করে। তারা আমাদের জায়গা ইতঃপূর্বে জোর করে বালু দিয়ে ভরাট করে দখল করার চেষ্টা করে।
নান্টু বেপারীর ভাই বাবু বেপারী জানান, মোতালেব বেপারী স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের দোসরদের সাথে আঁতাত করে আমাদের ফিট দখল করে ১৬ বছর মাছ চাষ করে ভোগ করে। বর্তমানে আমরা তা ফেরত চাইতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে হানারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন টেলু বেপারী বলেন, তাদের মাঝে বাগবিতণ্ডার বিষয় আমি শুনে জেলা ও থানার নেতৃবৃন্দকে জানাই। তারা বিষয়টি স্থানীয় নেতাদেরকে মীমাংসার দায়িত্ব দেন। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। উল্টো আমাকে জড়িয়ে তারা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে নানাভাবে অপপ্রচার করছে, যা দুঃখজনক। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এদিকে এই সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার।