প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৩, ০০:০০
আমার সাংবাদিকতার ৮ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন পত্রিকার সাথে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। ২০১৬ থেকে সাংবাদিকতার কাজে সম্পৃক্ত হই। শুরু থেকে অদ্যাবধি যেসব পত্রিকায় কাজ করি সেসব পত্রিকা হচ্ছে পাক্ষিক কচুয়া কণ্ঠ, দৈনিক বাংলাদেশের আলো, দৈনিক আমাদের কুমিল্লা, দৈনিক চাঁদপুর সংবাদ ও সবশেষে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ।
এই ৮ বছর সময়ে বিভিন্ন সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়। ‘কচুয়া-হাজীগঞ্জ-গৌরিপুর ৪৮ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা’ সংবাদটি পত্রিকায় ছাপা হলে নজর কাড়ে সংশ্লিষ্টদের। সংবাদ প্রকাশের পর পুরো রাস্তাটির সংস্কার কাজ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সম্প্রতি দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পাতায় ‘কচুয়া- কালিয়াপাড়া সড়কের সংস্কার কাজে অনিয়ম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। পরবর্তীতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাস্তার সংস্কার কাজের কার্পেটিংয়ের কেক কেটে নিয়ে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার পর যে সকল স্থানে অনিয়ম পাওয়া গেছে সেসব স্থানে তা সমাধান করে এবং সংস্কার কাজে তদারকি জোরদার করে। তাছাড়া শিক্ষা বিভাগে অনিয়ম, মাদক, জুয়া, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং, সংস্কার কাজে অনিয়মসহ বিভিন্ন সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশের পর অনেক ক্ষেত্রেই তা সমাধান হয়েছে।
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকায় আমাকে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ায় আমি পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক রোটাঃ আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশার পিএইচএফ, প্রধান সম্পাদক রোটাঃ কাজী শাহাদাত পিএইচএফ, বার্তা সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ ও নির্বাহী সম্পাদক মির্জা জাকির এবং কচুয়া ব্যুরো ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দীন শাহাদাত-এর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আমি চাঁদপুর কণ্ঠের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৩০ বছর পদার্পণে আনন্দিত ও গর্বিত। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মধ্য দিয়ে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পাঠকদের হৃদয় জয় করেছে। সর্বোপরি সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে পত্রিকাটির ভূমিকা প্রশংসনীয়। পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকসহ সকল সাংবাদিক, লেখক, শুভানুধ্যায়ীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
মেহেদী হাসান : নিজস্ব প্রতিনিধি, কচুয়া।