সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩, ০০:০০

বাজারে ভারতীয় পানে হাইমচরের পান চাষিরা লোকসানের মুখে
অনলাইন ডেস্ক

হাইমচর উপজেলায় বহু বছর ধরেই বাণিজ্যিকভাবে পান চাষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে এর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। তবে বিদেশি পান বাজারে আসার কারণে স্থানীয় পানের বাজারমূল্যে হতাশ কৃষক। দাম কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পান চাষিরা। এছাড়া বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দিয়েছে পানের বরজে। ফলে পান চাষে অনেকটা লোকসান গুণতে হচ্ছে বলে দাবি চাষিদের।

চাষিরা জানান, একই জমিতে একবার পান চাষ করলে ১৮-২০ বছর ওই জমিতে আর হাত দিতে হয় না। অর্থাৎ ওই জমিতে ১৮-২০ বছর পান পাতা পাওয়া যায়। তবে কৃষি বিভাগের দাবি, একই জমিতে টানা ৫ বছরের বেশি পান গাছ রাখা ঠিক হবে না। এতে ফলন ভাল হবে না।

হাইমচর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর হাইমচর উপজেলায় ২১৯ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয়েছে। এতে প্রতি হেক্টর জমিতে ১৬/১৭ মেট্রিক টন পান উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

হাইমচর উপজেলার পূর্ব চর কৃষ্ণপুর গ্রামের দুলু মিয়া সরদার বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা পাকিস্তান আমল থেকে পান চাষ করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এখানে পান চাষ করে আসছি। আমার ৪টি পানের বরজ রয়েছে। আজ থেকে ৩০ বছর আগে চাষ শুরু করি। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত আর কোনো পান গাছের চারা রোপণ করার প্রয়োজন হয়নি। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমাদের পান চাষ করে লোকসান গুণতে হচ্ছে। কারণ ভারতীয় পান বাজারে আসছে বলে আমরা দাম কম পাচ্ছি। প্রতিদিন জনপ্রতি শ্রমিকদের দৈনিক হাজিরা ৬০০ টাকা দিতে হয়। সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় নিয়মিত। সেগুলোর দামও এখন বেড়ে গেছে।

পূর্ব চরকৃষ্ণপুর গ্রামের আরেক চাষি মোঃ কাওসার বলেন, আমাদের বাপ-দাদারা পান চাষ করেছিল। তাই ধারাবাহিকতায় আমরাও পান চাষ করে আসছি। আমরা এই চাষ করেই সংসার চালাই। এক সময় পানের বাজার ভাল ছিল। বর্তমানে পানের বরজে বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দিয়েছে। পানের লতায় পচন ধরেছে। তাই আমরা পান নিয়ে বিপাকে পড়েছি। আমরা কৃষি অফিস থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। তাই আমাদের পান চাষিদের উপরে সরকারের নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

এ বিষয়ে হাইমচর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার দেলোয়ার হোসেন মিন্টু বলেন, হাইমচর উপজেলার ২১৯ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হয়ে থাকে। হাইমচরে পানের চাষ সবচেয়ে বেশি হয়। এই চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। আমরা মনে করি, এই ফসলটা যদি আরো থাকে তাহলে কৃষকরা লাভবান হবে। একই জমিতে ৫ বছর অন্তর অন্তর পানের গাছ পরিবর্তন করতে হবে। যাতে মাটির উর্বরতা বজায় থাকে ও পান গাছের রোগ বালাই কম হয়। এ ব্যাপারে আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছি। তবে পানের ওপরে আমাদের কোনো প্রকল্প আসে নি। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়