প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র আশুরা পালিত
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ছিলো পবিত্র আশুরা। কারবালার শোকাবহ ঘটনাবহুল এ দিনটি মুসলমানদের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয় মুসলিম বিশ্বে। বাংলাদেশেও একইভাবে পালিত হয়। চাঁদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র আশুরা পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার বাদ মাগরিব থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চাঁদপুর শহরের চেয়ারম্যান ঘাটাস্থ বায়তুল আমান জামে মসজিদে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মসজিদের খতিব ও জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সভাপতি মাওঃ মোঃ সাইফুদ্দিন খন্দকার। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাওঃ মোঃ মাহাদী হাসান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছোট সুন্দর আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক মাওঃ মোঃ আবু সুফিয়ান সালেহী ও মাওঃ মোঃ আফছার উদ্দিন মোহেব্বী।
আশুরার মাহফিলে বিপুল পরিমাণ মুসল্লির উপস্থিতি দেখা গেছে। মিলাদ পরিচালনা করেন হাফেজ মোঃ আতিকুল্লাহ। দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি। পরে উপস্থিত সকলের মাঝে তবররুক বিতরণ করা হয়। এছাড়া চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার গ্রামে, পাড়া-মহল্লার মসজিদে এবং বিভিন্ন মাদ্রাসায় এ দিবসের তাৎপর্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে দেখা গেছে। এ উপলক্ষে বুধবার ছিলো সরকারি ছুটির দিন।
হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) এবং তাঁর পরিবার ও অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। এ ঘটনা স্মরণ করে বিশ্ব মুসলিম যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সকলকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা যোগায়।