প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
হাইমচর-চাঁদপুর সড়কে সিএনজি অটোরিকশা যেন প্রাণঘাতক
হাইমচর-চাঁদপুর সড়কে সিএনজি অটোরিকশা যেন প্রাণঘাতকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। অদক্ষ, অপরিপক্ক, আনাড়ী ও অপেশাদাররাই এ পথের এসব যানবাহনের অধিকাংশ চালক। ফলে নিত্যদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ বিষয়ে অনেক লেখালেখি হলেও দেখার যেন কেউ নেই।
|আরো খবর
গত ২২ আগস্ট দুপুর ১টার দিকে আলগী বাজারের নিকটে ডাঃ মিলন সরকারের বাড়ির কাছে আদর্শ শিশু নিকেতন স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুল ছুটির পর বাড়িতে যাওয়ার পথে দ্রুতগামী এক অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে নিজেও বাঁশঝাড়ের উপর গিয়ে পড়ে। এতে ওই শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হয়।
গত ২৬ আগস্ট একই রাস্তায় একই স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুল ছুটির পর অটোবাইকে চড়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় সোনা গাজীর বাড়ির সামনে চাঁদপুর থেকে আসা একটি দ্রুতগামী সিএনজি অটোরিকশা তাদের উপর হামলে পড়ে। এতে অটোবাইকের তিন ছাত্রী আহত হয়। এদের মধ্যে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আজমীরী আক্তার হাসমী গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে দ্রুত হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক তাকে চাঁদপুরে রেফার করা হয়। সেখানেও চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় ঢাকায় ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার ডান ও বাঁ পায়ের হাড়ে মারাত্মক ভাঙ্গা দেখা যায়।
গত মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় তার ডান পায়ের অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। এক সপ্তাহ পর বাঁ পায়ের অপারেশন করা হবে।
এরূপ অনেক দুর্ঘটনা এ রাস্তায় হরহামেশা ঘটছে। বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন--এটাই প্রত্যাশা যাত্রী সাধারণের।