রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

১০ টাকা চাওয়ার পরের দিন লাশ পাওয়া গেলো ইকরামের
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

৪ বছরের ছোট্ট শিশু ইকরাম নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছে মায়ের সাথে। বেড়াতে এসে বাড়ির পাশে দোকান থেকে কিছু কিনে খাবে বলে মায়ের কাছে ১০ টাকা চায়। গত বুধবার দুপুরে মা ইয়াসমিনের ছেলেকে টাকা দিতে পারেননি। মায়ের কাছে টাকা না পেয়ে ঘর থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যায় ইকরাম। তারপর থেকে নিখোঁজ শিশুটি। খুঁজতে খুঁজতে দিন গড়িয়ে রাত হয়, রাত গড়িয়ে বৃহস্পতিবার দিন পার হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে নানার বাড়ির পাশের খালে পাওয়া গেল মৃত ইকরামের ভেসে থাকা দেহ। ঘটনাটি হাজীগঞ্জের ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের কাকৈরতলা ভূঁইয়া বাড়ির। স্থানীয় ইউপি সদস্য ফিরোজ আহমেদ হীরা জানান, গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের জমদ্দার বাড়ির শাহ আলমের ছেলে ইকরাম (৪)। সে মায়ের সাথে পাশের গ্রাম কাঁকৈরতলা ভূঁইয়া বাড়িতে বেড়াতে যায়। পরে শুনি তার মুতদেহ পাওয়া গেছে।

ইকরামের মা ইয়াছমিন জানান, বুধবার দুপুরে আমার কাছে বায়না ধরে ১০ টাকার জন্য। দশ টাকা না দিয়ে বকুনি দেই। পরে ইকরাম রাগ করে ঘরের পাশে বসে ছিল। কিন্তু প্রায় এক ঘন্টা পর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। চারদিকে খুঁজে পাওয়া না যাওয়ায় মাইকিংসহ সকল মাধ্যমে সন্ধান করি। সারারাত সারাদিনে খোঁজ মিলেনি ছেলের।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে নানার বাড়ি গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের কাঁকৈরতলা ভূঁইয়া বাড়ির পাশে খালে শিশুটির মৃতদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী। হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

হাজীগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রশিদ জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়