শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

অনুপ্রবেশকারীদের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

হাজীগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ, উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা চেয়েছিলো বাংলাদেশ যেনো স্বাধীন না হয়। একাত্তর-পূর্ববর্তী সময় থেকেই তারা চক্রান্ত শুরু করে। এখানে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক শক্তি জড়িত। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীন হওয়ার পর তারা বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে নতুন করে চক্রান্ত শুরু করে। তখন বঙ্গবন্ধুর আশপাশে মোস্তাক গোষ্ঠীরা অবস্থান নেয় এবং অবশেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সফল হয়। তারা সুপরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল সদস্যকে একত্রিত থাকার সময়টিকে বেছে নেয়। এখানে রাষ্ট্রযন্ত্রের অনেক অর্গান ব্যর্থ হয়েছিলো। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ঠিকমতো তথ্য দিতে পারেনি। জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার পর তারা ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল তথা ২১টি বছর মুক্তিযুদ্ধের শক্তির ওপর অত্যাচার-নিপীড়ন করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তারা ধূলিসাৎ করে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বাংলার মানুষ এক সময় তাদের ভুল বুঝতে পারে। ১৯৯৬ সালে ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনে। এরপর থেকেই ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়ে যায়।

বর্তমান ও নতুন প্রজন্মকে সতর্ক করে তিনি আরো বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত এখনো থেমে নেই। মোস্তাকের মতো এখনো আমাদের দলে অনুপ্রবেশ করে তারা তাদের কাজ করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ২০ বার হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা সবচে’ ভয়াবহ। এগুলো বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। অনুপ্রবেশকারীরা বিরোধীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমাদের বিপক্ষে কাজ করছে। তাই বর্তমান ও নতুন প্রজন্মকে সতর্ক থাকতে হবে।

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটাঃ আহসান হাবীব অরুনের সভাপ্রধানে এবং জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী জসিম উদ্দিন ও বাকিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহমেদ মজুমদার ও মোঃ আবু তাহের, হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মাসুদ আহাম্মদ, সহকারী অধ্যাপক মোঃ সেলিম মিয়া, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ প্রধানীয়া সুমন।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি, সাবেক ছাত্রনেতা নজরুল ইসলাম বিপ্লব প্রমুখ। বক্তব্য শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে শাহাদাতবরণকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

অনুষ্ঠানে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক স্বপন কুমার পালসহ উপজেলা, পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়