প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস। এ দিনটি বাঙালির জন্যে অত্যন্ত শোকাবহ ও বেদনার দিন। বাঙালি এদিন বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে হায়েনাদের বুলেটের আঘাতে যারা শহিদ হয়েছেন। এদিন সরকারি প্রোগ্রামের পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন শোকের আবহে ভাবগাম্ভীর্যের সাথে নানা আয়োজন করে থাকে। থাকে বিশেষ দোয়া এবং পাড়া-মহল্লা, ওয়ার্ড এবং ইউনিয়নে তবররুক বিতরণসহ নানা আয়োজন। এবারে চাঁদপুর শহরে শোক দিবসের সার্বিক আয়োজন ছিলো রেকর্ড গড়ার মতো।
চাঁদপুর শহরে এ দিবসটির মূল আয়োজন ছিল জেলা প্রশাসনের আয়োজনকে ঘিরে। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ভিন্ন ভিন্ন আয়োজন ছিলো। আর এবার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি উপস্থিত থাকায় অনুষ্ঠানগুলোতে ভিন্নমাত্রা যোগ হয়েছে। সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিলো চোখে পড়ার মতো।
প্রশাসনের আয়োজনটি শুরু হয় চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে। এখানে শুধু প্রশাসন নয়, বিভিন্ন সংগঠনসহ আপামর জনসাধারণ এই ম্যুরালেই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এখানে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ শেষে কলেজ মাঠ থেকে বিশাল শোক র্যালি বের হয়। জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিশাল এই শোক র্যালির নেতৃত্বে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি এবং জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। র্যালিতে প্রশাসনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল বিভাগ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং দলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। কলেজ মাঠ থেকে র্যালিটি বের হয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা।
চাঁদপুর শহরে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মূল কেন্দ্রবিন্দু সরকারি কলেজ মাঠে দেখা গেছে এক অভাবনীয় দৃশ্য। হাজার হাজার মানুষ নিজ নিজ সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে সমবেতভাবে আসে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। ছিল শহরের প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ। সকাল নয়টা থেকেই কলেজ মাঠে মানুষের ঢল নামে। একটানা দুপুর পর্যন্ত চলে শ্রদ্ধা নিবেদন।
প্রশাসনের মূল আয়োজন ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক দল নিজ নিজ উদ্যোগে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে দোয়া মিলাদসহ শোক দিবসের নানা আয়োজন করে থাকে। সবমিলিয়ে এদিন জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং দিবসটি স্মরণ করতে সকলে একাকার হয়ে গিয়েছিল।