প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
পিন পতন নিরবতা। উপস্থিত ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এক এক করে চারজন বীর মুক্তিযোদ্ধার মুখে শুনলেন মুক্তিযুদ্ধে তাদের বীরত্বগাথা সেইসব সম্মুখ যুদ্ধ, যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে প্রেরণার ইতিহাস, বাঙালিদের প্রতি পাকিস্তানীদের নির্মমতার কথা ও রাজাকারদের আস্ফালন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধ ও আত্মত্যাগের কথা। কীভাবে তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে সামনে রেখে ঐতিহাাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে চেতনায় ধারণ করে লাঠি দিয়ে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, কীভাবে যুদ্ধে আহতদের যুদ্ধ ময়দান থেকে উদ্ধার করে সেবা দিয়েছেন, হানাদার বাহিনীকে কীভাবে পর্যুদস্ত করেছেন---শোনালেন সেসব কথাও। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)-এর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রকল্পের আয়োজনে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে যুদ্ধকালীন বীরত্বগাথা শোনানোর অনুষ্ঠানে এসব কথা শুনেন শিক্ষার্থীরা। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সহিদ উল্ল্যা তপাদার, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সারোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএইচ মুনসুর আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকুর রহমান শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের যুদ্ধকালীন ঘটনা তুলে ধরেন।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমুন নেছার সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামুকার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রকল্পের পিডি উপ-সচিব ড. নূরুল আমিন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুন্নাহারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের উপ-পরিচালক এরশাদ মিয়া, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান, ভাইস চেয়ারম্যান জিএস তছলিম, মাজুদা বেগম, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠান ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম ফরহাদ।
সভায় বক্তারা বলেন, এই ধরনের এই আয়োজন শুধু উপজেলা পর্যায়ে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দেয়া উচিত। আমাদের নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতার সূর্য সন্তানদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের অজানা ইতিহাস শুনতে পারলে তাদের মধ্যে দেশপ্রেম আরো জাগ্রত হবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে তারা জানতে পারবে। একইসাথে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ধরনের আয়োজনের জন্যে জামুকা ও প্রকল্প পরিচালককে ধন্যবাদ দেন বক্তারা। পরে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কুইজে অংশগ্রহণ করেন। শেষে বিজয়ীদের উপহার ও সনদপত্র তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।