শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

২২ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারি আটক
স্টাফ রিপোর্টার ॥

চাঁদপুরে ২২ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারিকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। ৯ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে ১টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ঘোষেরহাটে কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়ক থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ২২ কেজি গাঁজা ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। আটককৃতদের নাম মহসিন (৩০), মোঃ হাবিবুর রহমান (২৫) ও আরিফুল ইসলাম (সজল) (৩০)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা পুলিশকে জানায়, তারা দীর্ঘদিন কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে গাঁজা সংগ্রহ করে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে। তারা কুমিল্লা জেলা থেকে ২২ কেজি গাঁজা ক্রয় করে মাইক্রোবাসযোগে নারায়ণগঞ্জে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পুলিশের চেকপোস্টে থামিয়ে তল্লাশি করাকালে আটককৃতদের দেখানো মতে গাড়ির সিটের উপর ১ ও ২নং আসামীর মাঝখানে রাখা দুটি কার্টুন, একটি কার্টুনে ১০ কেজি ও অপর কার্টুনে ১২ কেজি গাঁজাসহ সর্বমোট ২২ কেজি গাঁজা (মূল্য আনুমানিক ৪,৪০,০০০ টাকা) ও একটি সাদা রঙের হায়েসগাড়ি (রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্টো-চণ্ড১৯-১৩২৪, ইঞ্জিন নং-1TR-8327034, চেসিস নং : TRH200-0132255, মূল্য আনুমানিক ২০,০০,০০০ টাকা) জব্দ করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা আরো জানায়, কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অজ্ঞাতনামা আসামির নিকট হতে গাঁজা ক্রয় করে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের ওমর ফারুক ৩৫-এর নিকট পৌঁছে দেয়ার জন্যে মাইক্রোবাসযোগে যাচ্ছিলো। আটককৃতরা ও সহযোগী পলাতক আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে উক্ত মাদক নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের নিকট অবৈধভাবে বিক্রয় করার পরিকল্পনা ছিলো।

সূত্র থেকে জানা যায়, আটককৃত মহসিন (৩০), মোঃ হাবিবুর রহমান (২৫) ও আরিফুল ইসলাম (সজল) (৩০)-এর বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ সালের ৩৬(১) সারণির ১৯(গ)/৩৮/৪১ ধারায় মামলা রুজুর নিমিত্তে এজাহার দায়ের করেন। মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। পলাতক আসামির নামণ্ডঠিকানা যাচাই-বাছাইসহ শনাক্তপূর্বক গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। মাদক বিক্রেতা যেই হোক না কেন তাকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং সেজন্যে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএমের দিকনির্দেশনায় পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ মোহাম্মদ আক্তার হোসেনের তত্ত্বাবধানে এসআই কামরুল হাসান কায়কোবাদের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস দল উক্ত মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়