প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে বেড়েছে চুরির প্রবণতা। এক রাতেই এক মহল্লা থেকে ৫ টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। একদিকে সম্পদ অন্যদিকে আদরের পোষাপ্রাণী হারিয়ে অনেকটাই বাকরুদ্ধ কৃষক-কৃষাণীরা। উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের সরদারপাড়া, গাব্দেরগাও গ্রামে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গরু চুরির এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা যায়, গাব্দেরগাঁও গ্রামের কৃষাণী খতেজা বেগমের ২টি গরু, সরদারপাড়া এলাকার বেপারী বাড়ির নুরুল হকের ২টি গরু ও মোঃ মিলনের ১টি গরু একই রাতে চুরি হয়ে যায়। সব চুরির ঘটনা আধা কিলোমিটার দূরত্বের ভেতর সংঘটিত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষাণী খতেজা বেগম বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ অবস্থায় বাসায় পড়ে আছে। গরুর দুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার গরুগুলোই সম্বল ছিল।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নূরুল হক বলেন, রাত ২টা পর্যন্ত আমার গরুগুলো গোয়ালে ছিলো, ভোররাতে উঠে দেখি গরুগুলো নেই। সাথে সাথে জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশকে জানিয়েছি। এমন ঘটনা আমরা দশ বছরে দেখিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত মিলন বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় ওই রাতেও ঘুমাতে যাওয়ার আগে গরু গোয়াল ঘরে বেঁধে রেখে যাই। ভোরে ফজর নামাজের সময় গরুগুলোকে খেতে দিতে গেলে তিনি দেখেন গোয়ালঘরে কোনো গরু নেই। এরপরেই তার ডাক-চিৎকারে এলাকার লোকজন তার বাড়িতে আসে এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও গরুগুলোর কোনো খোঁজ পাননি। একের পর এক কৃষকের গরু চুরির ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে কৃষকরা। অনেকেই রাত জেগে গরু পাহারা দিচ্ছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হাসান আলী বলেন, চুরির ঘটনা আমি নিজ উদ্যোগে থানা পুলিশকে জানিয়েছি। ইদানিং চোরের ভয়ে স্থানীয়দের মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
রূপসা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কাউসারুল আলম কামরুল বলেন, ইদানিং চুরির প্রবণতা বেড়ে গেছে। মানুষকে সচেতন করতে আমি গ্রাম পুলিশসহ প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের মেম্বারদের নিয়ে বৈঠক করবো। ৫টি গরু চুরি হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।