প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে হঠাৎ করেই বেড়েছে চুরির ঘটনা। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী রায়পুর উপজেলার সীমান্তবর্তী চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের আলোনিয়া এলাকায় চুরির ঘটনা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। গত এক মাসে প্রায় ১৫/২০টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় লোকজনের মতে, এলাকার কিছু চিহ্নিত চোরের দল দিনের পর দিন এসব চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছে। এদিকে হয়রানি এড়াতে অধিকাংশ ঘটনায় অভিযোগ, সাধারণ ডায়েরি বা মামলা হয় না থানায়। তাই অপরাধীরা থাকছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ফলে রাত নামলেই সেখানকার কোথাও না কোথাও ঘটছে চুরির ঘটনা। খোয়া যাচ্ছে বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল আর নিম্নআয়ের মানুষের চালিকাশক্তি অটোরিকশা। বাদ পড়ে না শখের মোটরসাইকেলও। চোরেরা হানা দিচ্ছে ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও। শীত নামার আগেই চোরের এমন উপদ্রবে আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে।
জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব আলোনিয়া গ্রামে কদিন আগে আবুল হোসেন গাজীর বড় ছেলের বসতঘরে চুরির ঘটনা ঘটে। এর কয়েকদিন পূর্বে রহিম গাজীর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এর আগে গত মাসে মুনছুর বেপারীর ছেলে সাবেক গ্রাম পুলিশ ফরিদ হোসেনের ঘরে সিঁধ কেটে চুরি সংঘটিত হয়। এর আগে আলোনিয়া গুদারাঘাট এলাকায় পল্লী চিকিৎসক রিপন মজুমদারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি হয়। একই রাতে রতন মজুমদারের মুদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটে। সপ্তাহের ব্যবধানে একই গ্রামের মৃত মুকবুল বেপারীর ছেলে হাছান বেপারীর ঘরে সিঁধ কেটে চুরির ঘটনা ঘটে। পরদিন রাতে তসলিম শেখের ঘরে সিঁধ কেটে চুরির ঘটনা ঘটে। একই সপ্তাহে একই গ্রামের মৃত জহিরুল ইসলাম পাটওয়ারীর ছেলে রুবেল হোসেন পাটওয়ারীর নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের রডের বান্ডেল চুরি হয়। এছাড়াও ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। এভাবে একের পর এক চুরির ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানায়, এসব চুরির ঘটনা প্রকাশিত। কিন্তু ছোটখাট এ রকম চুরির ঘটনা বলতে গেলে নিত্যদিনের। পূর্ব আলোনিয়া গ্রামের খন্দকার বাড়ি নামে একটি বাড়ি রয়েছে। যেই বাড়ির অনেক সদস্যের বিরুদ্ধেই চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। গত এক মাসে ধারাবাহিকভাবে ঘটা চুরির ঘটনার পেছনে ওই বাড়ির নির্দিষ্ট কয়েকজন জড়িত রয়েছে। ইতিমধ্যেই চুরির কিছু মালামাল উদ্ধার হওয়ার পর ওইসব ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে।
চুরির এসব ঘটনার বিষয়ে নবনির্বাচিত স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ বোরহান উদ্দিন বলেন, সবগুলো চুরির ঘটনাই আমি জেনেছি। আমার পক্ষ থেকে পুলিশকে জানিয়েছি। যারা চুরির ঘটনার শিকার হয়েছেন, তাদেরকে থানায় অভিযোগ দিতে পরামর্শ দিয়েছি। চোরের এমন কর্মকাণ্ডে মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মিরাজ বলেন, সম্প্রতি অনেকগুলো চুরির ঘটনা ঘটেছে। যথাযথ প্রমাণ না থাকায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা যাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে চুরি রোধকল্পে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।