শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:১৬

মায়ের জানাজায় ছেলের মৃত্যু : এলাকায় শোকের মাতম

মাহবুব আলম লাভলু
মায়ের জানাজায় ছেলের মৃত্যু : এলাকায় শোকের মাতম
মতলব উত্তরে মায়ের জানাজায় ছেলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের মাতম। ইনসেটে ইয়াছিন প্রধান।

মতলব উত্তর উপজেলায় মায়ের জানাজা দিতে গিয়ে ইয়াছিন প্রধান (৬২) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি ২০২৫) আসর নামাজের পরে মায়ের জানাজার পূর্ব মুহূর্তে ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের নান্দুরকান্দি গ্রামে ছেলের মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত ইয়াছিন প্রধানের ছোট ভাই মো. বাবর আরিফ। এ ঘটনায় গ্রাম জুড়ে চলছে শোকের মাতম।

জানা যায়, ইয়াছিন প্রধানের মা আনোয়ারা বেগম (৮২) বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পরে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি ২০২৫) সকালে মৃত্যুবরণ করেন। মায়ের মৃত্যুতে ৪ ভাই, ৩ বোন সহ আত্মীয়-স্বজন সবাই বাড়িতে আসেন। মায়ের মৃত্যুতে খুব কান্নাকাটি করেছিলেন ইয়াছিন প্রধান। মায়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে আসরের নামাজের পরে তার মায়ের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ইয়াছিন প্রধান। সেখান থেকে নিকটস্থ সুজাতপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইয়াসিন প্রধানের মৃত্যুতে তার মায়ের জানাজা দিতে আসা লোকজন ও আত্মীয়স্বজন হতভম্ব হয়ে পড়েন।

ইয়াছিন প্রধানের একমাত্র ছেলে সায়মন হোসেন লাদেন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বাবা আমার দাদিকে খুব ভালোবাসতেন এবং আমার দাদিকে সবসময় সেবা-যত্ন করতেন। সকালে দাদি মারা গেলে আমার বাবা খুব ভেঙ্গে পড়েন। আসর নামাজের পরে সবাই দাদির জানাজায় একত্রিত হলে ঠিক ওই মুহূর্তেই আমার বাবা স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। ওখান থেকে আমার বাবাকে হাসপাতাল নিয়ে গেলে ডাক্তাররা আমার বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন। এখন আমি কী করবো বুঝতে পারতেছি না। আমি এতিম হয়ে গেলাম।

এ বিষয়ে ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী জানান, বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক, আমার কাছে খুব খারাপ লাগছে। ইয়াসিন প্রধানের ছোট ভাই বাবর আরিফ সমাজে দীর্ঘদিন ধরে অসহায় মানুষের সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন। আমি এবং আমার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ইয়াছিনের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

মৃত্যুকালে ইয়াছিন প্রধান স্ত্রী, ১ছেলে, ৪ ভাই, ৩ বোন সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। এশার নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মা আনোয়ারা বেগম ও ছেলে ইয়াছিন প্রধানকে দাফন করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়