শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:০২

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের উদ্যোগ: ভারতীয় অভিবাসীদের মধ্যে আগাম সিজারিয়ান প্রসবের প্রবণতা বৃদ্ধি

স্বাস্থ্যের ঝুঁকি নিয়ে নাগরিকত্বের স্বপ্ন

মো. জাকির হোসেন
স্বাস্থ্যের ঝুঁকি নিয়ে নাগরিকত্বের স্বপ্ন
যুক্তরাষ্ট্রে তাড়াহুড়ো করে সিজার করাতে চাইছেন ভারতীয়রা। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশু স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পাবে না, যদি তাদের বাবা-মা মার্কিন নাগরিক বা গ্রিন কার্ডধারী না হন। তবে, এই আদেশটি আপাতত ১৪ দিনের জন্য আদালত স্থগিত করেছে।

ভারতীয় অভিবাসীদের প্রতিক্রিয়া: এই সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অনেক ভারতীয় দম্পতি সন্তানের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে আগেভাগে সিজারিয়ান প্রসবের পরিকল্পনা করছেন। নিউ জার্সির চিকিৎসক ড. এস ডি রামা জানিয়েছেন, গর্ভাবস্থার ৮-৯ মাসে থাকা নারীরা আগেভাগে সিজারিয়ান ডেলিভারির জন্য যোগাযোগ করছেন। এমনকি ৭ মাসের গর্ভবতী নারীরাও সন্তানের জন্ম দিতে আগ্রহী।

চিকিৎসকদের সতর্কতা: টেক্সাসের চিকিৎসক ড. এস জি মুখালা সতর্ক করেছেন, আগেভাগে সিজার করানো মা ও সন্তানের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এতে শিশুর ফুসফুসের সমস্যা, কম ওজন এবং স্নায়ুগত জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবুও অভিবাসী দম্পতিরা এই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত, কারণ সন্তান নাগরিকত্ব পেলে পরিবারের ভবিষ্যৎ নিরাপদ হবে বলে তারা মনে করছেন।

গ্রিন কার্ডপ্রত্যাশী ভারতীয়দের উদ্বেগ: যুক্তরাষ্ট্রে এইচ-১বি এবং এল-১ ভিসায় কাজ করা হাজার হাজার ভারতীয় গ্রিন কার্ডের জন্য অপেক্ষায় আছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই সন্তানের নাগরিকত্বকে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ হিসেবে দেখছেন। এক গর্ভবতী ভারতীয় নারী বলেন, "আমরা ছয় বছর ধরে গ্রিন কার্ডের জন্য অপেক্ষা করছি। এখন এই আইন আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।"

আইনি চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ: ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ২৪টি অঙ্গরাজ্য আদালতে মামলা করেছে। তারা এই আদেশকে মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া সবাইকে দেশটির নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে আদালতের স্থগিতাদেশ থাকলেও, এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য আইনি লড়াই অব্যাহত থাকবে। তবে, এই অনিশ্চয়তার মধ্যে অভিবাসী দম্পতিদের মধ্যে আগাম সিজারিয়ান প্রসবের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়