প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ইমাম, মোয়াজ্জিনদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) চাঁদপুরের আয়োজনে গতকাল ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চাঁদপুর রোটারী ক্লাব ভবনের নূরুর রহমান মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন। তিনি যক্ষ্মারোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বাস্থ্য সচেতন থাকলে যক্ষ্মা রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে আমাদের দেহে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এজন্যে আমাদেরকে স্বাস্থ্য সচেতন থাকতে হবে। প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, প্রেশার, এইচআইভি, হার্ট, কিডনি সম্পর্কে অধিক সচেতন হতে হবে। যদি কারো দুই সপ্তাহ বা তারও অধিক সময় নিয়মিত কাশি থাকে, তাহলে দেরি না করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে কফ পরীক্ষা করাতে হবে। এজন্যে তাকে কোনো প্রকার অর্থ ব্যয় করতে হবে না। সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ জেলা হাসপাতালে বর্তমানে বিনামূল্যে যক্ষ্মারোগীর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তিনি ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারা বিভিন্নভাবে মানুষকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করতে পারেন। গণসচেতনতার অভাবে আমরা অনেক ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হই। আমরা যদি ধূমপান, অ্যালকোহলসহ নেশাজাতীয় দ্রব্য পরিহার করতে পারি এবং এ সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে পারি, তাহলে আমরা অনেকটাই সুস্থ থাকতে পারবো। তিনি জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্যে জেলা নাটাবের সভাপতি ডাঃ এমজি ফারুক ভূঁইয়ার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
চাঁদপুর জেলা নাটাবের সভাপতি ডাঃ এমজি ফারুক ভূঁইয়ার সভাপ্রধানে চাঁদপুর বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাহমুদুল্লাহ সাঈদ যক্ষ্মা প্রতিরোধে আলোচনা করেন। গণসচেতনতা সৃষ্টিতে আরো আলোচনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন চাঁদপুরের উপ-পরিচালক মোঃ রুহুল আমিন। অনুষ্ঠান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন নাটাবের ফিল্ড লেভেল স্টাফ মোঃ মাসুদ হাসান। মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসার ৩০ জন ইমামণ্ডমোয়াজ্জিন অংশগ্রহণ করেন।