প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জেড এম আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। ৩০ নভেম্বর বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার মেহের কালীবাড়ির একটি রেস্তোরাঁয় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মঈনুল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় সদ্য সমাপ্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জেড এম আনোয়ার হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, জেলা আওয়ামী লীগ ও শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জের গণমানুষের নেতা মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, তাকে ৩ বছরের জন্য যে পবিত্র দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে, জাতির পিতার যে আদর্শ, অসাম্প্রদায়িক, অহিংস, সাম্য ও শান্তির বাংলাদেশ গড়ার জন্যে, যাতে তিনি এ দায়িত্ব পালন করতে পারেন সে দোয়া ও সহযোগিতা চাই সকলের প্রতি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অক্সিজেন নিজে জ্বলতে পারে না, কিন্তু অপরকে জ্বলতে সাহায্য করে। তেমনিভাবে আমরা যারা রাজনীতি করি আমাদের চলার পথকে মসৃণ করে সাংবাদিক সমাজ।
রাজনীতি একটি সেবামূলক বাহন উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন রাজনীতিবিদের প্রথম কর্তব্য হলো মানুষ যখন কোনো প্রয়োজনে তার কাছে আসে, তাকে সর্বাত্মক সহায়তা করা। রাজনীতি কোনো ক্ষমতার দাম্ভিকতা বা অর্থকড়ি আহরণের বাহন নয়। জাতির পিতার আদর্শের উপর থেকে আমি যাতে সে সেবামূলক দায়িত্ব পালন করতে পারি।
শাহরাস্তি শান্তির জনপদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের শাসন শাহরাস্তিতে বিদ্যমান। এখানে দলমত নির্বিশেষে সবাই স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের নেতৃত্বে অবস্থান ও বসবাস করে আসছে। শাহরাস্তিতে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা নেই। যদিও গত ২৮ অক্টোবর যুবদলের প্রোগ্রামকে ঘিরে শাহরাস্তিতে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশে মানুষ থাকলে গণতন্ত্র থাকবে, গণতন্ত্র থাকলে মতদৈততা থাকবেই। মতদৈততা থাকলেও কারো মত প্রকাশে বাধা দেয়া যাবে না, এমনটিই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার বিশ্বাস করে। আমরা অন্যন্য রাজনৈতিক সংগঠনের যেকোনো গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে সমর্থন করি। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যে কোনো বিশৃঙ্খলা, কোনো ধরনের নৈরাজ্য, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর পাঁয়তারা কখনো রাজনৈতিকভাবে বরদাশত করবো না। আমরা চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশে, মাননীয় সংসদ সদস্যের নির্বাচনী এলাকায় প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল সহিংসতা পরিহার করে গণতান্ত্রিকভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যাতে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার যে চেতনা বঙ্গবন্ধু দেখিয়েছেন হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাইকে নিয়ে পালন করতে পারি সেজন্য সহায়তা চাই।
একমাত্র শাহরাস্তি থানা একজন অলী কামেলের নামে, বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান মেহের কালীবাড়ি এ শাহরাস্তিতে অবস্থিত। এখানকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকলের অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র মাধু।
সাংবাদিকদের মধ্যে প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফারুক চৌধুরী, বর্তমান সহ-সভাপতি হাবীবুর রহমান ভূঁইয়া, সজল পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলালসহ প্রেসক্লাব ও উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।