শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

হাইমচরে রাতভর পাহারা দিয়েও রক্ষা হয়নি চরের মাটি
হাইমচর ব্যুরো ॥

হাইমচরের মধ্যচরে রাতভর পাহারা দিয়েও রক্ষা করা সম্ভব হয়নি নিজ গ্রামের মাটি। মাটি সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত জাহাজ আটক করে প্রশাসনকে অবহিত করার পরেও প্রশাসন নেয়নি কোনো ব্যবস্থা। দুপুর ১২টার দিকে জাহাজটি নিয়ে যায় মাটিখেকো চক্রটি। এ যেনো সরিষার মধ্যে ভূত। এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।

মাটিখেকো চক্রের মূল হোতা চাঁদপুরের মুন্না তালুকদার ও রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রনি। এদের আটক করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া সরকার জানান, গত ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় মাটিখেকো চক্রটি শিকদারকান্দিতে মাটি কাটা শুরু করে। আমরা গ্রামবাসী তাদের ধাওয়া দিলে তারা চলে যায়। আমরা রাত ৩টা পর্যন্ত পাহারা দিয়ে সবাই বাড়ি চলে যাই। বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে এই চক্রটি পুনরায় মাটি কাটা শুরু করে। সকালে সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে তারা একটি জাহাজ রেখে পালিয়ে যায়। বিষয়টি প্রশাসনকে জানালেও তারা নেয় নি কোনো ব্যবস্থা। নীলকমল নৌ-পুলিশ ও ঈশানবালা বায়ারচর পুলিশকে অবহিত করেও কোনো লাভ হয় নি। পরবর্তীতে চক্রটি এসে জাহাজটি নিয়ে যায়। আমরা নদী রক্ষায় বুধবার একটি চর রক্ষা কমিটি গঠন করেছি। আমাদের চরকে আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।

সাবেক চেয়ারম্যান রতন হাজী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আমি ভালো না হলে কী করে নীলকমলকে রক্ষা করবো। মাটিখেকো চক্র মাটি কাটলো, পুলিশকে খবর দিলাম, তারা আসলো, ভেকু পেলো, স্পিডবোট পেলো, আটকালো না। অথচ নদীর পাড়ের নিরীহ মানুষগুলোকে মারধর করলো। মাটিখেকোরা পালিয়ে গেলো। একটি জাহাজ আটক করলো এলাকাবাসী। ভোর ৬টায় নীলকমল পুলিশসহ প্রশাসনকে জানানো হলো। কেউ আসলো না, পুলিশের অপেক্ষায় ছিলাম সকাল ৯টা পর্যন্ত। রাতভর জেগেছিলাম, তাই একটু বিশ্রাম নিতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। লোকজন ছিলো জাহাজ পাহারায়, দুপুর ১২টার সময় সেটাও চক্রটি নিয়ে গেল। কাকে বিশ্বাস করবো! প্রশাসন যদি আসামী না ধরে, দেখেও না দেখার মতো থাকে, তাহলে আর কী করা যায়। তবে আমাদের সম্পদ রক্ষায় নিজেদেরই ভূমিকা নিতে হবে।

নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ হোসেন সরকার জানান, মাটি কাটার সংবাদ পেয়ে রাতেই অভিযান পরিচালনা করা হয়। আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর তারা সবাই পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা আবার মাটি কাটতে আসলে এলাকার লোকজন তাদের ধাওয়া দেয়। লোকজন একটি জাহাজও আটক করে আমাদের সংবাদ দেয়। আমরা ফোর্স পাঠালে তারা যাওয়ার পূর্বেই জাহাজটি নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

নীলকমল ইউপি চেয়ারম্যান সউদ আল নাসের বলেন, চরের মাটি রক্ষায় আমার যা করা লাগবে আমি তাই করবো। মাটি রক্ষায় কোনো চক্রকে ছাড় দেয়া হবে না। প্রয়োজনে নীলকমলবাসীকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করা হবে। তবুও নীলকমলের মানচিত্র থেকে কোনো গ্রামকে বিলুপ্ত হতে দেয়া হবে না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়