শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

হাজীগঞ্জ পৌর নারী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ভাইয়ের অভিযোগ
হাজীগঞ্জ ব্যুরো ॥

হাজীগঞ্জ পৌরসভার নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তারের কাছে নিরাপত্তহীতায় ভুগছেন বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিলেন তার আপন ভাই মোঃ মাসুদ। মিনু হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯নং (সংরক্ষিত-৩) ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত ২২ নভেম্বর দায়ের করা অভিযোগে মিনু আক্তারকে ১নং বিবাদী, বড় ভাই সাইফুল ইসলামকে ২নং ও বোন রিমা আক্তারকে ৩নং বিবাদী করেন মাসুদ।

অভিযোগে মাসুদ উল্লেখ করেন, ১নং বিবাদী (সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তার) বদমেজাজী ও সবসময় পরপুরুষ নিয়ে চলাফেরা করে। তিনি নিজ খরচে পৈত্রিক সম্পত্তির উপর একটি বসতঘর নির্মাণ করেন। অভিযোগের কিছুদিন পূর্বে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকেসহ তার স্ত্রী-সন্তানদের মারধর করা হয়। এরপর বড় বোন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তার তাকে ও তার স্ত্রী-বাচ্চাদের জোরপূর্বক ঘর থেকে বের করে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধর ও তার স্ত্রীকে দা দিয়ে জখমসহ বাড়ির মুরুব্বিদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।

এছাড়া গত বছরের ৬ এপ্রিল মোঃ মাসুদ তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সালিকার (স্ত্রীর ছোট বোন) বাড়ি নোয়াদ্দা গ্রামে বেড়াতে যান। সেখানে থেকে ফিরে এসে দেখেন, বিবাদীরা তার বসতঘরে ঢুকে (প্রবেশ) সেলাই মেশিন ভেঙ্গে কাপড়-চোপড় ও ব্যবহারসামগ্রী পুুড়িয়ে দেয়। এতে তার ৫০ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়।

এই ঘটনায় এলাকায় সালিসি বৈঠকে বিষয়টির মীমাংসা করার চেষ্টা করা হলে বিবাদী পক্ষ উশৃঙ্খল আচরণ করে সালিসদারদের গালমন্দ করে স্থান ত্যাগ করেন। তিনি (মাসুদ) বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিবাদীগণ তাকে মেরে গুম করার হুমকি প্রদান করে। বর্তমানে তিনি ২টি শিশু সন্তান নিয়ে ভয়ভীতির মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। তাই পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন মোঃ মাসুদ।

এ বিষয়ে বিবাদী সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তার, সাইফুল ইসলাম ও রীমা আক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের জন্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেন মোঃ মাসুদ।

অভিযোগ অস্বীকার করে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনু আক্তার মুঠোফোনে বলেন, মাসুদ মায়ের নামে সে ৭০ হাজার টাকা কিস্তি (ঋণ) উঠায় এবং দুই কিস্তি দেয়ার পরে সে আর কিস্তি দেয় না। এ নিয়ে কথা হলে তার স্ত্রী আমার মায়ের গায়ে হাত তোলে এবং সে গালিগালাজ করে। পরে মা-বাবা তাকে (ছোট ভাই) বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

তিনি আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে পৌরসভায় অভিযোগ দিলে বৈঠকে কাউন্সিলরদের সাথে আমিও ছিলাম। সে বাবা-মায়ের উপর আক্রমণ চালায়, গালিগালাজ করে, কিস্তি (ঋণ) উঠিয়ে কিস্তি দেয় না। তখন আমি বড় বোন হিসেবে তাকে একটা কিছু বলেছি। ওই সময়ে বাবা-মা বলছে, এই ছেলেকে (মোঃ মাসুদ) আর বাড়িতে উঠাবো না।

মিনু প্রশ্ন রেখে বলেন, এখন আপনারাই (সংবাদকর্মী) বলেন, যেখানে আমার বাবা, মা, বড় ভাই আছে, সেখানে আমার কী করার আছে? আমি ওই বাড়িতে থাকি না। মাঝে মাঝে গিয়ে আবার চলে আসি।

এদিকে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগে ফৌজদারী অপরাধের কথা উল্লেখ রয়েছে। তাই বিষয়টি দেখার জন্যে থানায় পাঠানো হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়