শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞান না থাকলে সাধারণ পড়ালেখা করে কিছু করা যাবে না
বিমল চৌধুরী ॥

‘উদ্ভাবনী জয়োল্লাসে স্মার্ট বাংলাদেশ’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার সফল সমাপ্তি হয়েছে গতকাল ২১ নভেম্বর সোমবার বিকেলে। সমাপনী দিনের পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। তিনি সুন্দর আয়োজন ও সফল সমাপ্তির জন্যে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞান না থাকলে সাধারণ পড়ালেখা করে কিছু করা যাবে না। আগামী দিনের অর্থনীতি হবে প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতি। দেশ হবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর। আমরা আহ্বান জানাবো যারা পড়ালেখায় ভালো এবং মেধাসম্পন্ন, তারা যেন টেকনোলোজিক্যাল বা প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় আগ্রহী হন। ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় উদ্যোক্তারা সবগুলো স্টলই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন যা খুবই প্রশংসনীয়। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তাও ছিল চমৎকার। ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় ছাত্র-ছাত্রীদের বেশি বেশি করে পাঠানোর জন্য শিক্ষকদের অনুরোধ করেছিলাম। প্রযুক্তি বান্ধব নানা উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে নাগরিক জীবনকে আরো সহজ, সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট করে গড়ে তুলতে এবং সারাদেশের উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনী সক্ষমতা দেশের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে এ মেলার আয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বশির আহমেদের সভাপ্রধানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএমণ্ডবার, চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী ও চাঁদপুর ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির (আইএমটি) অধ্যক্ষ ড. প্রকৌশলী মোঃ সাখাওয়াত আলী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক এম আর ইসলাম বাবু।

এবারের মেলা ছিল খুবই দর্শনীয় ও শিক্ষণীয়। ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করে। মেলায় ডিজিটাল সেবা, উদ্ভাবনী উদ্যোগ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং হাতের মুঠোয় সেবা এ চার ক্যাটাগরিতে ৪টি প্যাভিলিয়ন রাখা হয়েছে। এ বছর মেলায় মোট ৭০টি স্টলে জেলার ৮ উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি দপ্তর এবং বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল উদ্ভাবনী প্রজেক্ট নিয়ে অংশগ্রহণ করে। মেলায় অংশ নেয়া এ সকল স্টলের সেরাদের মাঝে ক্যাটাগরি ভিত্তিক পুরস্কার প্রদান করা হয়। মেলায় অংশ নেয়া স্টলের মধ্যে প্রথম পুরস্কার অর্জন করে পুলিশ সুপার কার্যালয়, দ্বিতীয় জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিস ও তৃতীয় পুরস্কার অর্জন করে জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়। মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার অর্জন করে হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুল এন্ড কলেজ, দ্বিতীয় মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও তৃতীয় হয় মতলব জেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রথম হয় পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ, দ্বিতীয় হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ও তৃতীয় হয় মেহের ডিগ্রি কলেজ। কোভিড-১৯, কৈশোরবান্ধব এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য বিষয়ক ডিজিটাল সেবা প্রদানে প্রথম পুরস্কার অর্জন করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ সাজেদা বেগম পলিন, দ্বিতীয় হয় হাজীগঞ্জ উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সুনির্মল দেউরি ও তৃতীয় হয় আইটি কম্পিউটার সিটি। অনুরূপভাবে মেলায় অংশ নেয়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের ক্যাটাগরি ভিত্তিতে পুরস্কৃত করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়