প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:২৭
জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা
চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সমূহ বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান
চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও চাঁদপুর পৌর প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়া, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নুর আলম দীন, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহাবুবুর রহমানসহ কমিটির সদস্য সরকারি সকল দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করেই এবং সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে জেলার সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধ, যানজট মুক্ত রাখা, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান তিনি। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, নিজের দপ্তরের কাজ করার জন্যে উপযুক্ত ব্যক্তি আপনি নিজেই। নিজের দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। নতুন বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আপনাদের সহযেগিতা প্রয়োজন। জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের দপ্তরগুলেতে বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে । আমরা ভীতু হয়ে গেছি। ভয় পেলে চলবে না। আমাদের ভয়কে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সেই আগের নিয়মে চলতে পারি না। আসুন আমরা এখন থেকেই শুরু করি। জেলা প্রশাসক পৌরসভার বিভিন্ন কার্যক্রম বিষয়ে বলেন, চাঁদপুর পৌরসভার ফান্ড কম। সেক্ষেত্রে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মেরামত করতে তাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। এজন্যে চাঁদপুরবাসীও দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। চাঁদপুরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চাই। তা হচ্ছে, শহরে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আমরা সড়ক বিভাগকে দিতে চাই। যার ফলে দ্রুত সড়কের কাজ করা সম্ভব হবে এবং জনদুর্ভোগ কমবে। তিনি আরো বলেন, পুরো জেলাতে যে অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে তা অব্যাহত রাখতে হবে। এছাড়াও তিনি শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে, কুমিল্লা সড়কের দ্রুত সংস্কার ও পৌর কবরস্থানের প্রবেশদ্বারগুলো দ্রুত লাগাতে পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। শুষ্ক মৌসুমে সেচকাজ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, শুষ্ক মৌসুমে কৃষকরা যাতে তাদের জমিতে সময় মত সেচ সুবিধা পায় এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎকে বিশেষ ব্যবস্থাগ্রহণ করা দরকার। কারণ কৃষকদের এখন সেচের পানির দরকার হবে। সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ যেন না যায় সে দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এ ব্যাপারে আগে থেকেই বলে রাখতে হবে। নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা লাগবে। আপনারা যেখানে জানবেন যে পলিথিন মজুদ রয়েছে, আমাদের তখনই ম্যাসেজ দিবেন, আমরা সেখানে অভিযান পরিচালনা করবো। এছাড়াও যাদের অবৈধ ইট ভাটা রয়েছে, সেগুলোর নাম লিস্ট করে অভিযান করতে হবে। জেলা প্রশাসক জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা বিষয়ে বলেন, আমাদের জেলাতে শিক্ষা ব্যবস্থা এখন তেমন ভালো নয়। শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে যে ধরনের অনিয়মগুলো রয়েছে তা আমরা জানি, সেসব অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জেলা প্রশাসক জেলার চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসমূহ নিষ্ঠার সাথে সুচারুরূপে বাস্তবায়নের জন্যে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এছাড়াও সভাতে অন্যান্য বিভাগের বিষয়েও আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়। পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব তাঁর বক্তব্যে বলেন, যে কোনো দপ্তরে পুলিশি সহায়তা প্রয়োজন হলে আমাদের জানাবেন। পুলিশের কাছে সহায়তা চেয়ে সহায়তা পাননি সেটা আমার জানা নেই। জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে যা যা করণীয় তা আমরা করে যাচ্ছি। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ঘটনা ঘটলেও তা প্রতিরোধ করছি।