প্রকাশ : ২২ জুন ২০২১, ০৯:১০
হাজীগঞ্জ মডেল মসজিদ নির্মাণে ধীরগতি
কাজের মেয়াদ শেষ হলেও অগ্রগতি মাত্র ৩০ শতাংশ
দেশের জেলা ও উপজেলা শহরে একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। ইতিমধ্যে দেশের ৫০টি উপজেলায় ৫০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ শেষ করে উদ্বোধন করা হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় হাজীগঞ্জ উপজেলায়ও মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করে সরকার। ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজের সূচনা হয়। দেড় বছরে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৩০ শতাংশ। কাজের এমন ধীরগতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। ২০২০ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদার বলছেন নানা কথা।
|আরো খবর
মডেল মসজিদগুলো শুধু নামাজের স্থান নয়, ইসলামী গবেষণা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানর্চচারও স্থান। মডেল মসজিদ গুলো দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে নির্মিত হওয়ায় এর প্রতি মানুষের প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
হাজীগঞ্জ-গৌরীপুর সড়কের পাশে কাজীরগাঁওয়ে ৪০ শতাংশ জায়গার উপর হাজীগঞ্জ মডেল মসজিদটি নির্মাণ হচ্ছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে হাজীগঞ্জ মডেল মসজিদটি নির্মাণ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আজিজ ব্রাদার্স। আজিজ ব্রাদার্স ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের ১২ তারিখ নির্মাণ কাজ শুরু করে। বেইজ ঢালাইয়ের পরপরই বর্ষার পানি চলে আসে এবং ২০২০ সালে কোভিড-১৯ এর কারণে মার্চের শেষ দিকে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায় । কিছুদিন পর বর্ষার পানির নিচে পড়ে যায় নির্মাণাধীন অংশ। ২০২০ সালের শেষের দিকে বর্ষার পানি চলে যায়। গত বছরের শেষের দিক ও এ বছরের অর্ধেকে যে পরিমাণ কাজ হয়েছে তা তেমন আশানুরূপ নয়। এ নিয়ে এলাকার মানুষকে প্রায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এলাকার একাধিক লোক কাজের ধীরগতির কারণ হিসেবে ঠিকাদারের গাফিলতিকে দায়ী করেন। একই ঠিকাদার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মডেল মসজিদটিও নির্মাণ করছেন। এদিকে প্রায় একই সময় কচুয়া মডেল মসজিদের কাজ শুরু করলেও সেটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে উদ্বোধন হয়ে গেছে। হাজীগঞ্জ মডেল মসজিদটি নির্মাণে ধীরগতির কারণ জানতে কথা হয় চাঁদপুর গণপূর্ত অধিদপ্তর ও ঠিকাদারের সাথে।
গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, হাজীগঞ্জ মডেল মসজিদটি নির্মাণের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ঠিকাদার পুনরায় সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ শতাংশ কাজ হয়েছে মাত্র।
ঠিকাদার মোঃ আব্দুল আজিজ মিয়াজী চাঁদপুর কন্ঠকে বলেন, জায়গাটা পুকুর ছিল, তাই অনেক নিচে থেকে কাজটা তুলতে হয়েছে। নিচু জায়গা হওয়ায় বর্ষার পানির কারণে অনেকদিন কাজ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও করোনা আর লকডাউনের কারণেও কাজ বিলম্বিত হয়। কাজের বিলম্বের মাশুল আমাকেই দিতে হচ্ছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বছরও কাজ হচ্ছে। তবে বালু দিয়ে ভরাটের কাজটি যাদের দিয়েছি তারা কাজটি নির্ধারিত সময়ে শেষ করছে না।
চাঁদপুর গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তন্ময় গোলদার চাঁদপুর কন্ঠকে বলেন, কাজটি সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে আজিজ ব্রাদার্স বাড়তি সময়ের জন্য আবেদন করেছে। জায়গাটি নিচু হওয়ার কারণে সময় বেশি লাগছে। ঠিকাদার আশানুরূপ কাজের অগ্রগতি দেখাতে পারেননি।