প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:১৪
চাঁদপুরে মডেল মসজিদগুলোর বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় ২০ লাখ টাকা
![চাঁদপুরে মডেল মসজিদগুলোর বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় ২০ লাখ টাকা](/assets/news_photos/2025/02/15/image-58942-1739621736bdjournal.jpg)
চাঁদপুরের মডেল মসজিদগুলোর বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন। জেলার নয়টি মডেল মসজিদের মধ্যে ৬ টিতে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।
সবচেয়ে বেশি বকেয়া কচুয়া উপজেলা মডেল মসজিদে। সেখানে গেল তিন বছরে সাড়ে ৭ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি, হাইমচর, ফরিদগঞ্জ ও মতলব দক্ষিণ মডেল মসজিদে।
এ নিয়ে কচুয়া মডেল মসজিদের ফিল্ড সুপারভাইজার মো. হাসান মজুমদার বলেন, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি মাসে ১০০ ইউনিটের বিদ্যুৎ বিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এখানে সাব-স্টেশন স্থাপন করায় বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকলেও বিল আসবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এখন প্রতি মাসে বিল আসে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। অথচ শুক্রবার জুমার নামাজের সময় দান উঠে ৪শ' থেকে ৫ শ' টাকা। প্রথমে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমন্বয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বকেয়া বিল পরিশোধ করা হয়েছিল।
তিনি আরো জানান, মডেল মসজিদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ক্যাটাগরি মতে ১১সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসায় কেউ দায়িত্ব নিতে চান না। এখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস ছাড়াও হাফেজিয়া মাদ্রাসা, ইমাম প্রশিক্ষণ ও ইসলামিক পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে।
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর জেনারেল ম্যানেজার মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, কচুয়া মডেল মসজিদের বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে না তিন বছর ধরে। এছাড়া হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি মডেল মসজিদেরও বিল বকেয়া রয়েছে। তিনটিতে প্রায় ১২ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।
তিনি প্রত্যাশা করেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জেনারেল ম্যানেজার মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, তাদের এলাকায় চারটি মডেল মসজিদ রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে মতলব দক্ষিণ, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর ও হাইমচর উপজেলা মডেল মসজিদ। মতলব উত্তরের মডেল মসজিদে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়নি। বাকি তিনটিতে বকেয়া ৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা বকেয়া।
জানতে চাইলে চাঁদপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হিসাব রক্ষক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, চাঁদপুরের ৯টি মডেল মসজিদ। জেলা মডেল মসজিদ এখনও হয়নি। বাকি আট উপজেলায় ৮ টির ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। একটি এখনও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি। সদর উপজেলা মডেল মসজিদে এখন জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয় পরিচালনা করা হচ্ছে। এই মসজিদে মিটার সিস্টেমে বিল পরিশোধ করতে হয়। ইতোমধ্যে তাদের বাজেটও শেষ পর্যায়ে। উপজেলা মডেল মসজিদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া বর্তমানে প্রায় ২০ লাখ টাকা। গেলো নভেম্বরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পাঠানো তথ্যে প্রায় ১৭ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে বলে অবহিত করা হয়েছে।