প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৫, ২১:৫৪
অভিযোগ দেয়ার পরও অবৈধ ড্রেজার অপসারণে ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা প্রশাসন

ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরেও অপসারণ করা হয়নি অবৈধ ড্রেজার। ব্যবস্থা নেয়ার দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের। অন্যদিকে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, ড্রেজার মেশিন মালিক এতোটা বেপরোয়া যে, তাকে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি ড্রেজার বন্ধ করেননি।
|আরো খবর
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন গুপ্টি ইউনিয়নের দক্ষিণ বৈচাতলী গ্রামের পইয়ার বাড়িতে অবৈধ ড্রেজার মেশিন চলমান অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে আশপাশের সম্পত্তির মালিকদের ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেজন্যে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষে সফিউল্লাহ নামে এক ব্যক্তি ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আরো অনেক আগেই লিখিত অভিযোগ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তাকে ড্রেজার অপসারণের দায়িত্ব দেন। কিন্তু ড্রেজারের মালিক মাওলানা শাহাদাত এতোটাই বেপরোয়া যে, তিনি ওই ভূমি কর্মকর্তাকে পাত্তা না দিয়ে আশপাশের মানুষের ক্ষতিসাধন করে ড্রেজার মেশিনটি প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা বাহাদুর শাহের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ড্রেজারের মালিক শাহাদাতকে ড্রেজার সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি কোনো কর্ণপাত না করে ড্রেজার চালিয়ে যাচ্ছেন। ড্রেজারের মালিক আমার কথা না শোনার কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে অনুরোধ করেছি এ ড্রেজার মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার। অন্যদিকে এলাকার অনেকে জানান, ড্রেজারের মালিক মাওলানা শাহাদাত এ এলাকায় প্রায় ৮-১০ বছর যাবৎ অবৈধভাবে ড্রেজার চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আওয়ামী লীগের আমলেও বিভিন্ন নেতা-কর্মী এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রতিনিয়ত ড্রেজার চালাতেন। সে ধারাবাহিকতায় এখনও তিনি এই অঞ্চলে অবৈধভাবে ড্রেজার চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকার মানুষ তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরে তাঁকে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।