প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:৪২
ধান চাষে বাঁধা দিচ্ছে চর কমিটির একটি পক্ষ: দাবী কৃষকদের
ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার চরগুলোতে বোরো মৌসুমে ধান চাষ নিয়ে মেয়রের আবারো বিজ্ঞপ্তি জারি
ক্রমবার্ধমান খাদ্যের উচ্চমূল্য এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার ঘোষণাকে বাস্তবায়ন করতে ফরিদগঞ্জে চলতি বোরো মৌসুমে এক ফসলি জমিতে চার মাস ধান চাষ ও বাকী ৮ মাস মাছ করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। কিন্তু স্থানীয় একটি চক্র চরে ধানচাষ বাদ দিয়ে সারাবছর মাছ চাষ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। কৃষকদের দাবী ও স্থানীয় প্রশাসনের নিদের্শনাকে উপেক্ষা করে ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার চরগুদাড়া গজারিয়া চর মাছ চাষের জন্য ইজাড়া দিতে চরের সভাপতিসহ কমিটির একটি অংশ তৎপর হয়ে উঠেছে। ফলে ধান চাষের বীজতলা তৈরি করলেও এখন ধানের আবাদ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে তাদের মধ্যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
|আরো খবর
ফলে কৃষকরা বাধ্য হয়ে বৃগষ্পতিবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর কাছে আসে। কৃষকদের কথা শুনে তিনি ১ নভেম্বর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্থার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বোরো মৌসুমে চরের জমিতে ৪ মাস ধান চাষ ও ৮মাস মাছ চাষ হবে বলে পুনরায় জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি ( স্মারক নং-ফ: পৌ:/প্রশা:/২০২৩/৪৫২) প্রদান করেন।
চরের কৃষক হাবিব উল্ল্যা, আহসান উল্ল্যা, মাসুদ, আমির হোসেন লোকজন জানান, আসাদের দাবী ও সরকারের সিদ্ধান্ত না মেনে চরের সভাপতিসহ কয়েকজন জোরপূর্বক সারা বছরের জন্য চর ইজাড়া দিতে পাঁয়তারা করছে। তাই আমরা মেয়রের কাছে এসেছি।
ওই সময়ে উপস্থিত উপসহকারি কৃষ কর্মকর্তা নুলে আলম জানান, গত ১ নভেম্বর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে ফরিদগঞ্জ পৌরসভাধীন চরগুলোত বোরো মৌসুমে এক ফসলি জমিতে ধান ও মাছ চাষ নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সেই অনুযায়ী আমরা কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ সরবরাহ করা হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী এব্যাপারে বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত কেউ অমান্য করতে পারবে না। কৃষকদের ন্যায্য দাবী প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা সকলে মিলে চার মাস ধান ও বাকী ৮ মাস মাছ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।