প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৯:৩৭
বাড়ছে চলাচলে ভোগান্তি।। ঠিকাদারকে বিকল্প পথ তৈরি করে দিতে নির্দেশ
দামোদরদীতে ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি।। বৃষ্টির কারণে বিশাল ফাটল

চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দামোদরদী গ্রামে খালের ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজের ধীরগতির কারণে জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট কাদায় একাকার হয়ে গেছে।
বুধবার (৯ জুলাই ২০২৫) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজটির কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় প্রায় ৪০টি পরিবারের চলাচলের রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ব্রিজের পাশ দিয়ে বিকল্প রাস্তা ধরে যাওয়ার পথে এক পথচারীর পা পড়ে পা ভেঙ্গে গেছে। অপরদিকে ব্রিজের বেইস প্রসেসিং করতে গিয়ে বিলম্ব হওয়ায় বৃষ্টির কারণে বিষ্ণুপুর সড়কসহ খান বাড়ির কবরস্থান, বাঁশ ঝাড়সহ প্রায় কয়েক মিটার ভেঙ্গে গেছে। এতে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। খুব দ্রুত এর সমাধান চেয়েছেন তারা।
স্থানীয়রা বলেন, ধীরগতিতে কাজ চালান ঠিকাদার। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারীরা। ইতোমধ্যে ব্রিজের পাশ দিয়ে বিকল্প রাস্তা ধরে যাওয়ার পথে এক পথচারীর পা ভেঙ্গে গেছে। পথচারীরা বলছেন, রোজার ঈদের পর ব্রিজের কাজ শুরু হয়। পরে প্রায় এক মাসের মতো বন্ধ থাকে। আবার ক'দিন আগে চালু করলেও এখন বৃষ্টির কারণে কাদায় একাকার হয়ে গেছে সব। তাই ঝুঁকি ও ভোগান্তি নিয়ে এ পথে চলাচল করতে হচ্ছে। আমরা খুব দ্রুত এর সমাধান চাই।
মো. খোকন খান বলেন, ১ এপ্রিল সকাল বেলা ভ্যাকু দিয়ে বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে দুপাশে গর্ত করে ব্রিজের বেইস প্রসেসিং করেছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের কয়েক জায়গায় কাজ চলার কারণে আমাদের ব্রিজটির কাজ বন্ধ করে দেয়। গত তিন মাসে কাজ করলে আজকে এমন অবস্থা হতো না। আমরা সদর উপজেলায় অভিযোগ করেছি। পরে প্রকল্প পরিচালক এসে সরজমিনে দেখে গেছেন। সে কারণেই ঠিকাদার হয়তো কোনোরকম কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে চারপাশে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বড়ো বিষয় হলো, বিষ্ণুপুরের সড়কে বিশাল একটি গাছ আছে, যে কোনো সময় এই গাছটি পড়ে গিয়ে রাস্তা আরো বেশি ভেঙ্গে যেতে পারে। আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। আমরা খুব দ্রুত এর সমাধান চাই।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি ঠিকাদার হিসেবে এ কাজের জন্যে কোনো গড়িমসি করি নি। বৃষ্টির কারণে মূলত কাজের ব্যাঘাত ঘটেছে। যতবারই কাজ শুরু করি, বৃষ্টির কারণে কাজ পিছিয়ে যায়। তারপরও কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। বৃষ্টির কারণে দুপাড় ভেঙ্গে গেছে। সেটি আমি মেরামত করে দেবো। আর বর্তমানে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) বলেছেন, চলাচলের বিকল্প মাধ্যম (রাস্তা) তৈরি করে দিতে। সেটিও আমি করে দিচ্ছি।
চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) মোহাম্মদ আফতাবুল ইসলাম বলেন, আমি সরজমিনে গিয়ে দেখেছি। আসলে বৃষ্টিও একটি কারণ। এছাড়া কাজের ধীরগতির আরেকটি কারণ হলো, ঠিকাদারের লোকবল কম। ঠিকাদার যেনো দ্রুত কাজ করেন সেটি তাকে বলা হয়েছে। এছাড়া ঠিকাদার কর্তৃক বিকল্প চলাচলের পথ তৈরি করে দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।