চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষকের হুমকি

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁবিপ্রবি)-এর ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাইজীদ আহম্মেদ রনিকে হুমকি দিয়েছেন একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্যে অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষক নাজিম উদ্দিন। এক মিটিংয়ে তিনি বাইজীদ আহম্মেদ রনিকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘বেশি বাইড়েন না, সমস্যা হবে। এখন চাকুরি নাই, কখনো যদি ফিরে পাই, তখন সব কিছুই দেখবো।’

রোববার (২৯ ডিসেম্বর ২০২৪) চাঁদপুর মডেল থানায় এ বিষয় নিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন বাইজীদ আহম্মেদ রনি।

জানা যায়, শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্যে চাঁবিপ্রবির আইসিটি বিভাগের শিক্ষক নাজিম উদ্দিনকে অব্যাহতি দেয়া হয়। অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষক কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। তবে তিনি ঠিকই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন, বিভিন্ন মিটিংয়ে অংশ নেন। গত ২৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে অংশ নেন তিনি। এ সময় তিনি বাইজীদ আহম্মেদ রনিকে হুমকি দেন।

চাঁদপুর মডেল থানার সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, ২৯ ডিসেম্বর বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টায় বিবাদী (নাজিম উদ্দিন) একটি সভায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি পেছন থেকে রাগান্বিত হয়ে বাইজীদ আহম্মেদ রনিকে বলেন যে, ‘বেশি বাইড়েন না, সমস্যা হবে। এখন চাকুরি নাই, কখনো যদি ফিরে পাই, তখন সব কিছুই দেখবো।’ রনি বলেন, এর আগেও আমার বিভাগের শিক্ষার্থীদের সামনে আমাকে অসম্মানজনকভাবে ‘তুই-তোকারি’ করে কথা বলেন। বিষয়টি শিক্ষক হিসেবে আমার জন্য মানহানিকর।’

বাইজীদ আহম্মেদ রনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্যে অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষক নাজিম উদ্দিন আমাকে বিভিন্ন সময় অপমান-অসম্মান করেছেন, বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. পেয়ার আহমেদের সামনেই তিনি আমাকে হুমকি দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতেই বাধ্য হয়ে আমি সাধারণ ডায়েরি করেছি। আশা করি প্রশাসন ব্যবস্থাগ্রহণ করবে।

এ ব্যাপারে ভিসি প্রফেসর ড. পেয়ার আহমেদ বলেন, তিনি অভিযুক্ত শিক্ষককে তার কক্ষে আসতে বলেন নি। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে, সিন্ডিকেট ব্যবস্থা নিবে। তবে তাঁর কক্ষে দুজন শিক্ষকের বাকবিতণ্ডায় থানায় জিডি করাও ঠিক হয়নি।